তিস্তাসহ নদীর পানির ন্যায্যহিস্যা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হোন
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর উপলক্ষে তিস্তা-পদ্মাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাতিল, সুন্দরবন ধ্বংসকারী রাপমাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি ও তৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় বাসদ (মার্কসবাদী)-র কার্যালয় ঘেরাও করে রাখা, বাসদ (মার্কসবাদী) কর্মী শরীফুল চৌধুরী, প্রগতি বর্মন তমা, সায়েমা আফরোজ-কে গ্রেফতার, মিছিল-সমাবেশ করতে না দেয়া, পুলিশ কর্তৃক বাম মোর্চার সমন্বয়ক মোশরেফা মিশুর বাসভবন ঘেরাও করে রাখা ও গ্রেফতারের হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিকাল ৪টায় বাসদ (মার্কসবাদী)র বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষিত সময়ের পূর্বেই বিকাল ৩টা থেকে বাসদ (মার্কসবাদী)-র কার্যালয়ের প্রবেশমুখ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘেরাও করে রাখে এবং নেতাকর্মীদের ঢুকতে-বেরোতে বাধা দেয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়কারী মোশরেফা মিশুর বাসভবন গতকাল রাত থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ঘেরাও করে রাখে এবং তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া এবং বাসা থেকে বের হওয়া মাত্র গ্রেফতারের হুমকি দিতে থাকে। এছাড়া আজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ছাত্র ফ্রন্ট নেতা নাজমুল ইসলাম সাদ্দাম, রাসেল সর্দার, নাজমুল ইসলাম শাওন, জুন্নুন হাসান খান মারুফ, তীর্থ রাজ বিশ্বাসকে গুরুতর আহত করে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মোদীর সফরের উদ্দেশ্য সাম্রাজ্যবাদী ভারতের একচেটিয়া কর্পোরেট পুঁজির মালিকদের স্বার্থে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করা। এ সফরে বহু দিন ধরে আলোচিত তিস্তা-পদ্মাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও কাঁটাতারের বেড়া প্রত্যাহার বিষয়ে কার্যকর কোনো আলোচনা হবে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে না দেয়ার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সরকার যেভাবে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বলপ্রয়োগ করেছে তা নজিরবিহীন ও সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে মতপ্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করা হল। বিবৃতিতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মোদির সফরে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয়ে থাকলে ভিন্নমতের প্রতি সরকার এত অসহিষ্ণু কেন?
বিবৃতিতে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আমাদের শাসকদের নতজানু নীতি এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ সংগঠিত করা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।