Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদভারতের সাথে সম্পাদিত বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করতে হবে — জাতীয় কমিটি

ভারতের সাথে সম্পাদিত বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করতে হবে — জাতীয় কমিটি

 

64286_1603489333247954_345674365134661694_n

মাগুরছড়া দিবস উপলক্ষে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা ‘মাগুরছড়া-টেংরাটিলা’ বিস্ফোরণে দায়ী বিদেশী কোম্পানী শেভরন ও নাইকোর কাছ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের কাজে লাগানোর দাবী জানানো হয়েছে। সমাবেশ থেকে সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল, অরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্পসমূহ, ভারতের সাথে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়।

১৪ জুন ২০১৫ বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যপক আনু মুহাম্মাদ। সাইফুল হক, ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, জোনায়েদ সাকী, রুহিন হোসেন প্রিন্স, রাজেকুজ্জামান রতন, কামরুল আহসান, এ্যাড, আব্দুস সালাম, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, নাসিরউদ্দিন নসু, বহ্নিশিখা জামালী, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, জাহাঙ্গী আলম ফজলু, শামসুল আলম, শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিদেশী কোম্পানীর অবহেলায় ‘মাগুরছড়া-টেংরাটিলা’ বিস্ফোরণে দেশের বিশাল ক্ষতি হলেও এই বিশাল ক্ষতি নিয়ে কোন সরকারকে কখনো কথা বলতে শোনা যায়নি। মার্কিনী কোম্পানি শেভরণ ও কানাডীয় কোম্পানী নাইকোর কাছ থেকে এই বিপুল পরিমান ক্ষতিপূরণ আদায় করতে কোনো সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। উল্টো তাদেরকে নানারকম ছাড়, ভর্তুকি ও সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে একটা হাস্যকর রকম কম অংকের টাকা কখনো কখনো বলা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের যথাযথ অর্থ আদায় করে তা জ্বালানী খাতে সক্ষমতা বিকাশসহ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মাগুড়ছড়া-টেংরাটিলায় গ্যাস সম্পদসহ ক্ষতির হিসাবে মার্কিন ও কানাডার কোম্পানীর কাছে আমাদের সর্বমোট পাওনা দাঁড়ায় কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণ জ্বালানী খাতে গত পাঁচ বছরের বাজেট বরাদ্দের চাইতে বেশি। আমরা যদি দীর্ঘমেয়াদে জীব-বৈচিত্র্য বিপর্যয়সহ পরিবেশ ক্ষতি বিবেচনা করি, যদি মানুষের ক্ষতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিবেচনা করি, যদি এই গ্যাস সম্পদের অভাবে বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটের ক্ষতির হিসাব যোগ করি, তাহলে এর পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে। তিনি বলেন, সরকার আন্তরিক হলে ক্ষতিপুরণ আদায় যে সম্ভব সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় নিজেদের থেকে বিদেশী কোম্পানীর স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। তিনি ভারতের আদানী ও রিলায়েন্স গ্রুপের সাথে যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ না দিয়ে দায়মুক্তি আইনের আওতায় বিদ্যুৎ চুক্তির সমালোচনা করে তা বাতিলের দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তারা দেশের গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জাতীয় কমিটির ৭দফা বাস্তবায়নের দাবী জানান। সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments