CSE ও অর্থনীতি বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ২৪ জুন ২০১৫ সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য চত্বরে ছাত্র সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহেরাব আজাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রী চক্রবর্তী রিন্টু ও দপ্তর সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী, জবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর সরকার, দপ্তর সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকার।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষার প্রসার, বিভাগ উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি যুক্তি দাঁড় করানো হলেও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকালীন কোর্সের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও এর বিরুদ্ধে অতীত আন্দোলন অন্তত তাই বলে।
বক্তারা আরো বলেন, বাণিজ্যিক সান্ধ্যকালীন কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটবে বলা হলেও শিক্ষকদের এ কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। CSE বিভাগে এই কোর্সের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়ার সামর্থ কাদের আছে তা বলাই বাহুল্য। বাস্তবে এটি বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, ঐতিহ্যকে চাকরির বাজারে উচ্চমূল্যের সার্টিফিকেট হিসেবে বিক্রির পরিকল্পনা।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা সন্ধ্যার পর এই কাজে যুক্ত হওয়ার ফলে ব্যাহত হবে মূল শিক্ষা কার্যক্রম। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষা বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত হওয়ায় ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক হবে ক্রেতা বিক্রেতা সম্পর্ক। শিক্ষকরা এমন ভূমিকা পালন করতে পারেন না যা দ্বারা শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হয়।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষকরা সবচেয়ে কম বেতন পান। শিক্ষকদের বেতন কম দায় কি শিক্ষার্থীদের নাকি রাষ্ট্রের? আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন ও সামাজিক মর্যাদার দাবি করছি। শিক্ষকদের বর্তমান পে স্কেলে আরেক ধাপ নামিয়ে দেয়ার মাধ্যমেও শিক্ষা সম্পর্কে শাসকদের বাণিজ্যিকীকরণের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রমাণ। আমরা অবিলম্বে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে স্কেলসহ সর্বোচ্চ বেতন ও মর্যাদার দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচিঃ ২৫ জুন ২০১৫ একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং আগামী ২৬ তারিখ অর্থনীতি বিভাগের সামনে অবস্থান ।