বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ১৪ জুলাই ২০১৫, সোমবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ঢাকা নগর শাখার সভাপতি এ্যাড. সুলতানা আক্তার রুবির সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সহ- সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি ময়মনসিংহ ও সিলেটের ঘটনার জন্য দায়ী। সিলেটে কিশোর রাজনকে প্রকাশ্যে দিবালোকে রাস্তায় হত্যা করা হলো, অনেক মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তা দেখলো এবং তা ভিডিও করা হলো। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, মানুষের বিবেক, নৈতিকতা, মনুষ্যত্ব কিভাবে ধ্বংস হলো? আমিনবাজারে ৬ জন যুবককে পিটিয়ে হত্যা থেকে শুরু করে গুম, খুন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা বিনা বিচারে হত্যা সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। মানুষকে নির্লিপ্ত করেছে।
সরকার বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বলে উল্লাস করছে। পত্রিকা, মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করছে। দেশের উন্নয়ন তো দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা থেকেই প্রতিফলিত হয়। অল্প কিছু মানুষ সম্পদশালী এটা ঠিক, কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ সর্বহারায় পরিণত হচ্ছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার এটাই নিয়ম। কিছুদিন আগে মানবপাচারের ঘটনার কথা আমরা জানি। ময়মনসিংহের ঘটনা সে সব দূর্দশারই ধারাবাহিকতা।
নেতৃবৃন্দ সিলেটের কিশোর রাজন হত্যাকারী ও ময়মনসিংহে যাকাত নিতে এসে পদপৃষ্ঠ হয়ে ২৭ জন মারা যাওয়ার ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।