বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ২৭ আগষ্ট ২০১৫ গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে জনজীবনে ক্রমাগত দুর্ভোগ বাড়াতে আবারো গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পায়তারা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার বিইআরসির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম ২৬.২৯% ও বিদ্যুতের দাম ২.৯৩% বৃদ্ধির ঘোষণা দিল। প্রেস ব্রিফিং এর মধ্যমে জানানো হয় গ্যাস-বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, এবছর গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির গণশুনানি করে। এতে দাম বাড়ানোর পক্ষে কোন যুক্তি খুজে পায়নি বিইআরসি এবং এখনকার মত তখনও বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়েনি। গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা জনগণের দুর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেবে। আন্তর্জাতিক বাজারের ন্যায় যদি তেলের দাম কমানো হতো তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামসহ যানবাহনের ভাড়া কমত। অথবা তেলের বর্ধিত লভ্যাংশ গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ দিলে জনজীবনের কষ্টের বোঝা কিছুটা কমতো। ভর্তুকি কমানোর নাম করে এই মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে, অথচ গ্যাস খাতে যা কিছু ভর্তুকি তার মূল কারণ বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কেনা। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও ভর্তুকির প্রধান কারণ দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর নামে তেলভিত্তিক রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সরকারি নীতি। এইভাবে জনগণের অর্থ দিয়ে দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষার নীতি বাস্তবায়ন করতেই বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মহাজোট সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি-তেল-পানি-শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সবকিছুকে পণ্যে পরিণত করতে চায়। পুঁজিপতিদের মুনাফা লোটার সুযোগ করে দিতেই তাই তারা দফায় দফায় এসব সেবার দাম বাড়ায়। গণআন্দোলনের চাপে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে সরকারকে বাধ্য করতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।”