রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও বীরকণ্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সংগ্রামী স্মৃতি বিজড়িত পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব প্রশাসনিক প্রয়োজনে সংস্কারের নামে এর ঐতিহ্য ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র, সামজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে পপি চাকমা সভাপতি, আছমা আক্তার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র, তাজ নাহার রিপন সভাপতি, আরিফ মঈন উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও ইন্দ্রানি ভট্টাচার্য, ইনচার্জ চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এক যুক্ত বিবৃতিতে তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন “১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাষ্টারদা সূর্যসেনের নির্দেশে বীরকণ্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা পাহাড়তলীস্থ ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমন করেন এবং আক্রমণ শেষে প্রীতিলতা ক্লাবের সম্মুখে শহীদি আত্মোৎসর্গ করেন। পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব এই কারনে আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের অংশ। অথচ দুঃখ জনক বিষয়, জাতির এই ঐহিত্য সংরক্ষণ না করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন এটি বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র, সামজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সহ চট্টগ্রাম বাসির দীর্ঘদিনের দাবী পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাবকে স্মৃতি জাদুঘর হিসাবে সংরক্ষণ করা হউক। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে তৎকালীন রেলওয়ের জি.এম. প্রতিশ্রুতি দেন ইউরোপীয়ান ক্লাবকে স্মৃতি জাদুঘরে রুপান্তর করার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবেন। অথচ এখন প্রশাসনিক প্রয়োজনে সংস্কারের নামে ইউরোপীয়ান ক্লাব ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। অভিলম্বে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই অপতৎপরতা বন্ধ না করলে চট্টগ্রাম বাসীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন করা হবে। নেতৃবৃন্দ পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাবকে প্রীতিলতা স্মৃতি জাদুঘর হিসাবে সংরক্ষণ করার জোর দাবি জানান।