নারী নির্যাতনকারী রফিকুল ইসলাম এবং জনতার উপর গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে তাদের উপর পাশবিক নির্যাতনকারী রফিকুল ইসলাম রোমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং এর প্রতিবাদে আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সংগঠিত জনতার আন্দোলনে গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ৩.৩০টায় বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলা শাখা কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার সংগঠক তামান্না আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ইসরাত রাহী রিশতার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তব্য বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য সুশান্ত সিনহা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমেদ, লক্ষী পাল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে সংগঠিত নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রমান করে এদেশের ঘরে বাইরে নারীরা কোথাও নিরাপদ নন। মা ও ছেলের উপর সংগঠিত এই বর্বর নির্যাতন শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা নয়, বরং ক্রমাগত মানুষের নৈতিকবোধ নামিয়ে দেবার যে চক্রান্ত চলছে তারাই ফলাফল। শোষনমূলক পুঁজিবাদী সমাজ প্রতিনিয়ত যে ভোগবাদ আর আত্মকেন্দ্রিকতার জোয়ার বইয়ে দিচ্ছে তার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে নারীদের উপর। আবার দেশে একের পর এক যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তার কোন একটি ঘটনারও সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় এই প্রবণতা ভয়ংকর মাত্রায় বাড়ছে। টাঙ্গইলে নারী নির্যাতনের পর স্থানীয় জনগন যখন আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছিল তখন তাদের উপর পুলিশের গুলি চালানো সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রকাশ। তাই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মানবিক আবেদন কিংবা আকাঙ্খা দিয়ে এর থেকে পরিত্রাণ সম্ভব নয়, প্রয়োজন উন্নত মূল্যবোধের ভিত্তিতে সর্বব্যাপক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
বক্তারা অবিলম্বে নারী নির্যাতনকারী রফিকুল ইসলাম রোমাসহ তার সহযোগীদের এবং জনতার উপর গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।