বাংলাদেশের সমাজতন্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ৩১ অক্টোবর ২০১৫ এক বিবৃতিতে বলেন, জাগৃতি প্রকাশনার মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপন কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
একই সময়ে একদল সন্ত্রাসী অভিজিৎ রায়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বর-এর কার্যালয়ে ঢুকে প্রধান নির্বাহী সম্পাদক আহমেদুর রহমান টুটুল সহ লেখক তারেক রহিম ও রণদীপম বসুকে কুপিয়ে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। একের পর এক এধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত অভিজিৎ রায় সহ লেখক-ব্লগারদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা দূরে থাক, চিহ্নিত পর্যন্ত করতে পারেনি। বিচার নিয়ে সরকারের তালবাহানা চলতে চলতেই খুন হলেন ফয়সাল আরেফিন দীপন এবং আহত হলেন আহমেদুর রহমান টুটুল, ব্লগার তারেক রহিম ও রণদীপম বসু।
বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সারাদেশে একের পর এক লেখক-ব্লগার হত্যার ঘটনা ঘটছে কিন্তু সরকার নির্বিকার, হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনছে না। এতে মুক্তবুদ্ধি চর্চার মানুষদের উপর ক্রমান্বয়ে আক্রমণ বাড়ছে যা হত্যাকারীদের মদদ দেওয়ার সামিল। সরকার যদি পূর্বে লেখক-ব্লগার হত্যার সাথে জড়িত মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোকে বিচারের আওতায় এনে অপরাধীদের শাস্তি দিত, নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা না করত, তাহলে দেশে একের পর এক বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটতো না। মুক্তচিন্তাবিরোধী উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি টার্গেট করে বারবার এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করলেও এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারে প্রশাসনের ব্যর্থতা জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম দায়িত্বহীনতার সামিল। ফ্যাসিবাদী অগণতান্ত্রিক শাসন বহাল রেখে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বহাল রেখে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে না — এ ঘটনা আরেকবার সেটাই প্রমাণ করল। তিনি দেশের সকল গণতান্ত্রিক চেতনা সম্পন্ন মানুষদের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির শাস্তির দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।