“বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনেক বিকল্প আছে, কিন্তু সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। সুন্দরবনের পাশে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে, দক্ষিণাঞ্চল সহ বাংলাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। বিশেষজ্ঞ সহ সারা দেশের মানুষের প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার তা উপেক্ষা করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলে, আজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবার্থে সুন্দরবন রক্ষায় সারাদেশের মানুষকে প্রতিরোধে সামিল হতে হবে।” গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আয়োজিত সুন্দরবন রক্ষায় সংহতি সমাবেশের বক্তারা এ কথা বলেন। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্র-ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ৫ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ৪ টায় এ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডাঃ মাহফুজুর রহমান, চবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আতিকুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সচিব অপু দাশ গুপ্ত, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সিদ্দিকুল ইসলাম, প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরামের যুগ্ন আহ্বায়ক ডাঃ সুশান্ত বড়ুয়া, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র জেলা সভাপতি পপি চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নগর সভাপতি তাজ নাহার রিপন ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য শফি উদ্দিন কবির আবিদ।
বক্তারা বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ সংকট চিন্তা করে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ১৬-১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে সুন্দরবন অভিমুখে রোডমার্চের ঘোষণা দেয়। স¤পূর্ণ দেশের স্বার্থের সাথে জড়িত একটি বিষয়ে গণতান্ত্রিক প্রচার-প্রচারণা ও জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত রোডমার্চে পুলিশ পদে পদে হামলা চালিয়ে, নেতা-কর্মীদের আহত করে, রোডমার্চকে পথে খাবার-পানি খাওয়ার জন্যও বাস থেকে নামতে না দিয়ে দমন-পীড়নের এক নজিরবিহীন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।” বক্তারা সুন্দরবনকে ধ্বংস করে রামপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। তারা ওরিয়ন কোম্পানি সহ দক্ষিণাঞ্চলের ভুমিগ্রাসী দখলদারদের অপতৎপরতা বন্ধ, বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভারত মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানান।