১৩ জানুয়ারি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, রবিবার বেলা ৪ টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা, জনজীবনের নিরাপত্তা এবং সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পদযাত্রাটি শাহবাগ চত্বর থেকে শুরু হয়ে তা নিউমার্কেট- পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের অন্যতম নেতা বাচ্চু ভূইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পদযাত্রা চলাকালীন সময়ে সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলছে। বর্তমান মহাজোট সরকার ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নীলনকশার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতায় বসে আছে। চলছে লুটপাট, গুম-খুন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করা, নারী ও শিশু হত্যাসহ সর্বস্তরে প্রশাসনে দলীয়করণের মাধ্যমে দেশব্যাপী অরাজকতা। জনগণের সংকটকে আড়াল করতে সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। জনগণের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করলেই- সরকার প্রচারকারী আন্দোলনকারীদের রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে ছাড়ছে। বক্তাগণ বলেন, জনগণের জাল-মালের নিরাপত্তা নাই অথচ সরকার সবসময়ই তার প্রচারে উন্নয়নের হাকডাক দিয়েই যাচ্ছে। বেকার কর্মহীন মানুষেরা যেখানে সাগরে ভেসে কিংবা পাচার হয়ে বিদেশের জঙ্গলে গণকবরে ঠাঁই পাচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, এই পরিস্থিতি সরকারের উন্নয়নের গল্প হচ্ছে রসিকতা।
বক্তাগণ আরো বলেন, ভারতের স্বার্থে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প নির্মাণ হলে বাংলাদেশের জন্য তা হবে মারণঘাতী। বক্তাগণ বলেন, সরকার দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্রকল্পটি করছে। যে সুন্দরবন বুক দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে সেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করে কোন কর্মযজ্ঞই সেখানে হতে পারে না। বক্তাগণ এই প্রকল্প এই মুহূর্তেই বন্ধ করার জন্য জোর দাবি করেন এবং জনগণকে সাথে নিয়ে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকি প্রদান করেন। আগামী ১৩ জানুয়ারি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সামনে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনতা ও প্রগতিশীল মানুষকে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।