চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি ও বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনরত অভিভাবকদের উপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে ১০ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল পাঁচটায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক আরিফ মইনুদ্দিন ও সভাপতিত্ব করেন সভাপতি তাজনাহার রিপন। বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মুক্তা ভট্টচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশু দত্ত, দপ্তর সম্পাদক মাহফুজা মলি, সদস্য মোঃ সাইয়েম ও জয়তু সুশীল।
বর্ধিত ফি বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অভিভাবকদের উপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন বেতন বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক। এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আমরা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের যুক্ত করে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। পরপর দুইবার মেয়রকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও মেয়র সাধারন মানুষের যে দাবি তা মেনে নেয় নি। আজ ভুক্তভোগী সাধারন অভিভাবকবৃন্দ যখন তাদের অসহায়ত্ব ও দাবির কথা মেয়রকে জানানোর জন্য সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে যান তখন পুলিশ ন্যাক্কারজনকভাবে অভিভাবকদের উপর হামলা চালায় ও কয়েকজন অভিভাবককে লাঞ্ছিত করে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। প্রশাসনের এই আচরন অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী নীতিকেই স্পষ্ট করে।
আমরা এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যৌক্তিক ও নৈতিক দাবি মেনে নিয়ে সাধারন মানুষের শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক শিক্ষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনে নগরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।