রেলের যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর চক্রান্ত বন্ধ, রেলওয়ে সম্প্রসারণ-আধুনিকায়ন ও বেসরকারীকরণ বন্ধের দাবিতে ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫ টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু’র সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কারমাইকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিড প্রমুখ।
নেতৃবৃন্ধ বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি রেলমন্ত্রী রেলযাত্রী ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফেব্র“য়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে। ৭.৮% থেকে সর্বোচ্চ ১৫% ভাড়া বাড়বে। এখানেই শেষ কথা নয়, তিনি বলেছেন এখন থেকে প্রতিবছর ভাড়া বাড়বে। রেল কর্মকর্তারা বলেছেন, রেলের ভাড়া সড়কপথের ভাড়ার কাছাকাছি হতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত ২০১২ সালেও যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও লোকসান কমানোর কথা বলে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীসেবার মান বাড়েনি, লোকসান কমেনি। ২০১২ সালে রেলের লোকসানের পরিমান ছিল বার্ষিক ৮০০ কোটি টাকা। ভাড়া বাড়ানোর পরও বর্তমান লোকসান হচ্ছে বার্ষিক ৯০০ কোটি টাকা। তাহলে আবারও ভাড়াবৃদ্ধি কি লোকসান কমাবে, নাকি সাবেক রেলমন্ত্রীর কথিত রেলের ‘দুর্নীতির কালো বিড়াল’ ধরা দরকার আগে ?
বলা হচ্ছে, ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয় বলে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। অথচ আমরা দেখি, সাংসদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য কোন ছাড় নেই। ৫কোটি মানুষের যাতায়াতের জন্য ভাড়া না বাড়িয়ে বছরে ১০০০কোটি টাকা কি সরকার ভর্তুকি দিতে পারে না? সবকিছু দাম বাড়ছে বলে রেলের ভাড়া বাড়াতে- হবে এ যুক্তিতে রেলের ভাড়াবৃদ্ধি অব্যহত থাকলে স্বল্প আয়ের মানুষ বাঁচবে কিভাবে?
নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের স্বার্থে রেলকে পরিচালনা ও বিকশিত করার দাবিতে জনগণকে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সেইসাথে অবিলম্বে সরকারকে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।