রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান
রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চরম গণবিরোধী। লোকসানের অজুহাতে যাত্রীভাড়া বাড়ানো হলেও বাস্তবে দাতাসংস্থা এডিবি’র পরামর্শে রেল বেসরকারিকরণ নীতির অংশ হিসেবেই যাত্রীভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ বক্তব্য রাখেন।
রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, রেলওয়ের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা, বেসরকারিকরণ বন্ধ, যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, চট্টগ্রামে সার্কুলার ট্রেন চালুর দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবেই বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টায় নগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব অপু দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের জেলা কমিটির সদস্য শফিউদ্দিন কবির আবিদ, ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য সোমা, আসমা আক্তার, সত্যজিৎ বিশ্বাস।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘লোকসান কমানো ও যাত্রীসেবা বৃদ্ধির অজুহাতে ২০১২ সালেও রেলের ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। অথচ লোকসান কমেনি, যাত্রীসেবাও বাড়ে নি। ২০১২ সালে রেলের বার্ষিক লোকসান ছিল ৮০০ কোটি টাকা। ভাড়া বাড়ানোর পরও বর্তমানে লোকসান বার্ষিক ৯০০ কোটি টাকা। মূলত রেলের লোকসানের কারণ হলো মন্ত্রী-আমলাদের দুর্নীতি, লুটপাট, রেল আধুনিকায়ন না করা, এডিবি’র হস্তক্ষেপে নানা অপচয়মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন। অথচ এই দুর্নীতি, অপচয়, লুটপাট বন্ধ করে বিভিন্ন সংস্থার কাছে রেলের পাওনা বকেয়া ও রেলের হাজার হাজার একর সম্পত্তি উদ্ধার করে রেল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিলে দ্রুত রেলকে লাভজনক করা সম্ভব। অথচ মহাজোট সরকার সেই উদ্যোগ গ্রহণ না করে উণ্টো মূল্যবৃদ্ধিও চাপে জর্জরিত জনগণের উপর ভাড়াবৃদ্ধিও বোঝা চাপাচ্ছেন। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে রেল পরিচালনা ও বিকশিত করার দাবিতে জনগণকেই সংগঠিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
নেতৃবৃন্দ রেল রক্ষার দাবিতে সচেতন মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকায় এলাকায় গণকমিটি গড়ে তোলা ও ভাড়াবৃদ্ধিও বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।