বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে আগামী অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে বলেন, বাজেটে একদিকে নতি স্বীকার করে মালিকদের জন্য বিপুল কর ছাড়, পণ্যের দাম নির্ধারনে অবাধ লাইসেন্স, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ আর অন্যদিকে কর বৃদ্ধি, ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও জনগুরুত্ব সম্পন্ন খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ প্রচলিত শোষণ-বৈষ্যমের ধারাকে আরো তীব্র করে জনগনের জীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ নামিয়ে আনবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভোটারবিহীন তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ এ সরকারের জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই, একতরফা ও আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রণীত এ বাজেটে জনজীবনের সংকট নিরসনের কোন পরিকল্পনা নেই। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নামে যে শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে একদিকে কৃষি জমি ধ্বংস ও বসতি উচ্ছেদের মাধ্যমে জনগনের জীবন-জীবিকা ধ্বংস, অন্যদিকে তথাকথিত কর্মসংস্থানের গালভরা বুলির আড়ালে দেশি-বিদেশি মালিকদের লুটপাট পাকাপোক্ত করে তোলা হচ্ছে। কৃষিখাতে বরাদ্দ খোদ কৃষকের কাছে পৌছানোর কোন ব্যাবস্থা নেই অথচ ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া কৃষকের জীবনে কৃষির উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সামান্য ভরসার কোন প্রতিফলন এ বাজেটে নেই।
তিনি বলেন, সরকার মেগা প্রকল্পের নামে যে বিপুল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে তাতে একদিকে মেগা দুর্নীতি যুক্ত অন্যদিকে তথাকথিত উন্নয়নের নামে সেতু, ফ্লাইওভার, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির তথাকথিত উন্নয়নের নামে জীবন ধ্বংসকারী এসব গণবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গড়ে উঠা জন আকাঙ্খাকে চূড়ান্তভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।
সরকার বিপুল অর্থ পাচার রোধ, পাচারকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি বিধান,খেলাপি ঋণ আদায়ের উদ্যেগ না নিয়ে অভ্যন্তরীণ ঋণের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে তা জনগণের উপর দায় ভার চাপানো এবং ধনী তোষণ ও অপরাধীদের ছাড় দেয়ার সামিল। তিনি এই গণবিরোধী বাজেট বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগনের প্রতি আহ্বান জানান।