গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভূমির দাবিতে আন্দোলনরত আদিবাসী হত্যা ও অগ্নিসংযোগ-লুণ্ঠনের ঘটনার বিচারের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্দ্যেগে ১০ নভেম্বর’১৬ বিকেল সাড়ে ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াসিন মিঞা ও মহিনউদ্দিন লিটন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার ক্ষত না শুকাতেই আবার আদিবাসীদের উপর ভয়াবহ হামলা প্রত্যক্ষ করলো দেশের মানুষ। স্বঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের চ্যাম্পিয়ান দাবিদার বর্তমান মহাজোট সরকারের শাসনামলে একের পর এক সংখ্যালঘু আদিবাসীদের জীবন সম্পদ অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। একসময় জোরপূর্বক উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসীদের ভিটা ফিরে পাবার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও সরকার কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু, পিতৃপুরুষের ভিটা ফিরে পাবার দাবিতে আন্দোলনরত আদিবাসীদের ওপর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যে হামলা চালানো হয়েছে তা রাষ্ট্রীয় বর্বরতারই আরেকটি নজির। চিনিকলের জন্য প্রয়োজন না হলে যে জমি আদিবাসীদেরই ফেরত দেবার কথা ছিল, সে কথার বরখেলাফ করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ সরকারি দল সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রভাবশালী কায়েমী স্বার্থবাদীদের কাছে বেআইনীভাবে লিজ দিয়েছে। আদিবাসীদের কাছে ভিটা ফিরিয়ে না দিয়ে প্রশাসন দখলদারদের স্বার্থরক্ষার জন্য বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যে হত্যাকান্ড ঘটালো তা অত্যন্ত ভয়াবহ। বর্তমানে মহাজোট সরকার যে কোন প্রতিবাদ আন্দোলন অত্যন্ত ফ্যাসিস্ট কায়দায় দমন করছে যাতে কোন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই ভয়াবহ হামলার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য ও দখলদারদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন এবং একই সাথে গণতন্ত্রমনা ও সকল সচেতন মানুষদের সোচ্চার প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।