গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে ৪ ডিসেম্বর রবিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ৩.৩০ টায় সারা দুনিয়ার মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মহান বিপ্লবী বিশ্বনেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর প্রয়াণে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয় এবং তার স্মরণে একটি শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের অন্যতম নেতা ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ফিরোজ আহমেদ বলেন, কিউবা বিপ্লবের মহান এই নেতার কোনো মৃত্যু নেই। তাঁর কাজ প্রেরণা ও দৃষ্টান্ত হিসাবে যুগে যুগে মানুষকে সামনে নিয়ে যাবে। সারা দুনিয়ার সামনে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কিভাবে স্বল্প সম্পদ নিয়ে সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে অসামান্য উন্নয়ন ঘটানো যায়; সারা দুনিয়ার সামনে অনুসরনীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের শত বিরোধিতা সত্ত্বেও।
বক্তারা বলেন, কিউবার নাগরিকরা মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে বিশ্ববাসীর সামনে দাঁড়াতে শিখেছেন তাদের মহান নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে। সেখানে প্রতিটি নাগরিকই জানেন, শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশকে গড়ে তোলার জন্য তার কি করনীয়। নাগরিকদের দায়িত্ব ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব এই দুইয়ের ভেতরকার সমন্বয়ের মাধ্যমে সেখানে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জনগণের গণতন্ত্রের অসামান্য রূপ। যা দুনিয়ার যেকোন দেশের জন্যই শিক্ষনীয়।