সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্বর্য চত্বরে মুক্তির অকুতোভয় সৈনিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, মহান কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ট্রোর স্মরণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেরাব আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আনিসুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড সাইফুজ্জামান সাকন, যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সুশান্ত সিনহা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু।
ফিদেল কাস্ট্রোর স্মরণ সভার সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সারা বিশ্ব যখন পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শোষণে পিষ্ট, কমরেড ফিদেল কাস্ট্রোর নেতৃত্বে কিউবার বিপ্লব সার বিশ্বের শোষিত-নির্যাতিত মানুষদের মুক্তির আলো দেখিয়েছে। কিউবা বিপ্লবের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের অবরোধ আক্রমণ মোকাবেলা করেও তিনি কিউবার মানুষকে দিয়েছেন শতভাগ শিক্ষার নিশ্চয়তা, দিয়েছেন উন্নত চিকিৎসা সেবা। আজ কিউবানদের গড় আয়ু গোটা আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ফিদেল কাস্ট্রো সারা বিশ্বের শোষণ-নিপীড়ন বিরোধী মানুষের পরম মিত্র। বৈষম্যহীন কিউবার সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমগ্র ল্যাটিন আমেরিকা তথা সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগায়। শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে যে কোন সংগ্রামে কমরেড ফিদেল কাস্ট্রো সংগ্রামী মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগায়। সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পুঁজিবাদী দুনিয়ার শাসকদের কাছে ফিদেল কাস্ট্রো আতংকের নাম। বহু ষড়যন্ত্রের জাল বুনেও তারা ফিদেল কাস্ট্রোকে হত্যা করতে পারেনি। কিউবার মুক্তিকামী জনগন তাদের অবিসংবাদীত নেতাকে রক্ষা করেছে এবং টিকিয়ে রেখেছে মর্যাদাময় জীবনের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা। বক্তারা আরো বলেন, ফিদেল কাস্ট্রো মৃত্যুহীন প্রাণ। শোষণ-বঞ্চনার পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উৎখাতের যে সংগ্রাম সারা বিশ্বব্যাপী চলছে সেই সংগ্রামে ফিদেল কাস্ট্রো উজ্জ্বল ধ্রুব তারার ন্যায় পথ দেখাবেন।”
সমাবেশের শুরুতেই কমরেড ফিদেল কাস্ট্রোর স্মরণে গান ও অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার সরকার।