রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত
বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে নির্ধারিত সদস্যদের নিয়ে ‘রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির’ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গত ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৯ নভেম্বর রাত ৮টায় সমাপ্ত হয়। রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির পরিচালনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, আলমগীর হোসেন দুলাল, মানস নন্দী প্রমুখ।
শিক্ষা শিবিরের উদ্বোধনী বক্তব্যে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের তীব্র শোষণে দেশে দেশে শোষিত মেহনতী মানুষ অসহায়, দিশেহারা। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ এক গভীর সংকটে নিপতিত। বেঁচে থাকার মরণপণ চেষ্টায় আজ বিশ্বের দেশে দেশে যুদ্ধ রক্তের স্রোত বইয়ে দিচ্ছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে মানুষকে বিভক্ত করার যে রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক, সামরিক আক্রমণ পরিচালিত হচ্ছে, যাতে শোষিত মানুষ বিভক্ত থাকে, তাদের মধ্যে যাতে ঐক্য গড়ে উঠতে না পারে। বাংলাদেশের অবস্থাও এর চেয়ে ভিন্ন নয়। গায়ের জোরে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ২য় দফা ক্ষমতাসীন হয়ে আওয়ামী মহাজোট (গত ৩ বছর যাবৎ) ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। জনস্বার্থ ও মতের তোয়াক্কা না করে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। সমস্ত প্রতিবাদ উপেক্ষা করে পৃথিবীর বৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ক্ষমতাসীনদের বেপরোয়া লুটপাট ও দখলের যে উন্মত্ততা তারই সর্বশেষ নজির নাসিরনগরে সরকারি এমপি-মন্ত্রী-স্থানীয় দখলদারদের ছত্রছায়ায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর বাড়ী-মন্দিরে ভাঙচুর-লুটপাট। গাইবান্ধায় আধিবাসীদের উচ্ছেদের জন্য নারকীয় নির্যাতন চালিয়ে ৪জনকে হত্যা করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আড়াই হাজার ঘর-বাড়ি। সরকারি স্থানীয় কায়েমী স্বার্থবাদী লোকেরা এর সঙ্গে যুক্ত। নিন্দা-ক্ষোভ-প্রতিবাদ সত্ত্বেও বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। প্রশাসন চলছে ক্ষমতাবানদের অঙ্গুলি হেলনে। এরকম চরম অগণতান্ত্রিক পরিবেশে অত্যাচারিত জনগণের দুঃখকে ভাষা দিতে পারে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তির অনুপস্থিতি জনগণের ওপর আক্রমণকে আরো তীব্র করছে।
মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, জনগণের জীবনে আজ যে দুঃখ দুর্দশা তার কারণ পুঁজিবাদ। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ থেকে মুক্তির দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। কিন্তু শুধু আকাঙ্খা দিয়ে, যে কোনো ভাবে লড়াই করলেই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা বিপ্লব হবে না। এর জন্য চাই সঠিক বিপ্লবী দল যা একটা দেশের সমাজ বাস্তবতাকে যথার্থ রূপে বিশ্লেষণ করে গড়ে উঠতে হয়। এ লক্ষ্যে এ দেশের মাটিতে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ও এ যুগের বিশিষ্ট মার্কসবাদী চিন্তা নায়ক শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারাকে হাতিয়ার করে বাসদ (মার্কসবাদী) দলে যে সংগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে তাকে শক্তিশালী করতে হবে। গণআন্দোলনের ধারায় সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।’
উল্লেখ্য যে এবারের শিক্ষাশিবিরে ‘কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠনের মূলনীতি(লেনিন),’ ‘কেন এসইউসিআই ভারতের মাটিতে একমাত্র সাম্যবাদী দল(শিবদাস ঘোষ),’ ‘সর্বহারা শ্রেণীর দল গঠনের সমস্যা প্রসঙ্গে’ তিনটি পুস্তিকার উপরে তিনদিন ধরে অংশগ্রহণকারী কমরেডরা আলোচনা করেন।
সারাদেশে মহান নভেম্বর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শতবর্ষের সূচনা ও বাসদ (মার্কসবাদী)-র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
চট্টগ্রাম
গত ১৮ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় নগরীর বটতলী রেলস্টেশন চত্ত্বরে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির আহ্বায়ক কমরেড মানস নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। সভা পরিচালনা করেন জেলা শাখার সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশগুপ্ত।
কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এতোবড় সংগ্রামের পরও কাক্সিক্ষত মুক্তি আসেনি। বরং ৪৫ বছরে এক দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী হয়েছে, যেখানে লুটপাট দুর্নীতি প্রথম ও শেষ কথা। শাসক দলগুলো ক্ষমতার স্বার্থে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সাথে আপোষ সমযোতার মাধ্যমে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার এমন এক পরিবেশের জন্ম দিয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে সম্প্রীতি হারিয়ে যাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় স্পষ্টভাবেই বোধ্যগম্য সরকার দলীয় এমপি ও প্রশাসনের ছত্রছায়াতেই এধরনের ঘটনা ঘটতে পেরেছে। এর আগেও সাম্প্রদায়িক সমস্ত ঘটনায় সরকারি মদদ ছিল। গণতন্ত্র মানে তো জনগণের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা। কিন্তু আওয়ামী-মহাজোট শাসনে এসব আজ কথার কথা। তা নইলে রামপালে সুন্দরবন বিনাশী বিদ্যুৎপ্রকল্পের বিরুদ্ধে যেখানে গোটা দেশ সোচ্চার, সরকার উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বুলি আউড়ে গায়ের জোরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। জনবিরোধী এ সকল চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের সচেতন ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম আজ সময়ের দাবি।” জনসভার শুরুতে লালপতাকায় সুসজ্জিত র্যালী ও শেষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালনায় নাটক ‘মৃত্যুখেলা’ পরিবেশিত হয়।
নোয়াখালী
নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় মাইজদী শহরের প্রধান সড়কে ব্যানার ফেস্টুনে দাবি সম্বলিত লাল পতাকায় সজ্জিত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী সময়ে নোয়াখালী টাউন হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্টির জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড দলিলের রহমান দুলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, মোবারক করিম। সভা পরিচালনা করেন জেলা পার্টির সংগঠক বিটুল তালুকদার।
সিলেট
১৯ নভেম্বর ’১৬ বিকাল ৪ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা পার্টির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য জননেতা কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল এবং সভাপতিত্ব করেন পার্টির জেলা আহবায়ক কমরেড উজ্জল রায়। বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব এবং পরিচালনা করেন সুশান্ত সিনহা সুমন। জনসভার পূর্বে একটি সুসজ্জিত র্যালী সিলেট রেজিষ্টারি মাঠ থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে মিলিত হয়। র্যালীর অগ্রভাগে ছিল শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সুশৃংখল মার্চ পাস্ট।
খাগড়াছড়ি
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় পার্টির জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড জাহেদ আহমেদ টুটুলের সভাপতিত্বে ও নাজির হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য কমরেড অপু দাশ গুপ্ত ও জেলা কমিটির সদস্য কবির হোসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী গণভোট
৯০ শতাংশ ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চায় না
ভোটের বাক্স নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগে বিভাগে ঢুঁ দিচ্ছে একদল ছেলেমেয়ে। কখনও করিডোরে আড্ডারত ছাত্রছাত্রীদের পাশে গিয়ে, কখনও ক্লাস শুরুর মূহুর্তে স্যারের কাছ থেকে একটু সময় চেয়ে নিয়ে ভোট চাইছে তারা। কখনওবা দৌঁড়াচ্ছে শিক্ষকদের কমনরুমে, কখনও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টেবিলে টেবিলে। তাদের লক্ষ্য একটাই- যত বেশি ভোট সংগ্রহ করা যায়, অর্থাৎ যত বেশি মত সংগ্রহ করা যায়।
কিসের জন্য এই মতামত সংগ্রহ? সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে প্রতীকী গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিলো। কারণ সুন্দরবনের কোল ঘেষে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে সারাদেশের বিবেকসম্পন্ন মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠছে। এর বিরুদ্ধে সরব গোটা দেশ। অথচ সরকার বলছেন, আন্দোলন নাকি কতিপয় লোক করছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে তাই এই সংগঠন গণভোটের মাধ্যমে ব্যাপক মানুষের মত নিয়ে দেখতে চাইছিলো এবং দেখাতে চাইছিলো বাস্তব অবস্থাটা কী?
গত ৩০ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলে এ ভোট গ্রহণ। ১৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বটতলায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ গণভোটের রায় ঘোষণা করেন। মোট ভোট পড়েছিলো ১০,১১১টি। এর মধ্যে ৯,১৪৮টি ভোট অর্থাৎ ৯০.৪৮% শতাংশ ভোট পড়েছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে আর মাত্র ৮৬০ টি ভোট অর্থাৎ ৮.৫১ % ভোট রামপালের পক্ষে। ১০৩ টি ভোট অর্থাৎ ১.০১% ভোট বাতিল হয়েছে।
ভোট সংগ্রহ করতে গিয়ে কেমন দেখলেন? মানুষ কী বলে? বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের কর্মীরা শোনালেন নিজেদের নানা উৎসাহব্যঞ্জক অভিজ্ঞতার কথা। প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, “আমাদের গোটা ডিপার্টমেন্টেরই তো এই বিষয়ে রাস্তায় নামা উচিত। অন্য কেউ বুঝুক না বুঝুক, আমরাতো জানি আমাদের কী ভয়াবহ ক্ষতি হতে যাচ্ছে।”
সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের নানা চাপের মধ্যেও ছাত্ররা ভোট দিয়েছেন সাহস করে। দু’জন ছাত্র কলাভবনের করিডোরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ভোটের কথা বলতেই একজন সাথে সাথে ভোট দিয়ে দিলেন। অন্য বন্ধু বললেন, “তুই সুন্দরবনের পক্ষে ভোট দিয়ে দিলি? কাদের সিটে আমরা থাকি একবার ভাববি না?” তখন প্রথমজন বললেন, “আমি হলে থাকতে হবে বলে ওখানে যাই-ই করি না কেন, ক্লাসরুমে তো আমি তো তা না। আমার বিবেক বুদ্ধি আছে।”
একেবারে সরাসরি ছাত্রলীগের কর্মীও ভোট দিয়েছেন। দিয়ে বলেছেন, “আমি ছাত্রলীগ করি তাই রামপালের পক্ষে বলি। কিন্তু আবার আমি তো মানুষ, তাই সুন্দরবনের পক্ষে ভোট দিলাম।”
ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভা মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় রায় ঘোষণার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, একাউন্টিং এন্ড ইন্ফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, বাসদ(মার্কসবাদী)-কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন কবির আতিক ও সাইফুজ্জামান সাকন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা।
ছাত্রাবস্থায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এমন একজন মন্তব্য করছিলেন রায় ঘোষণার দিন, “বাহ্। একটা তুলনামূলক ছোট সংগঠনের অল্প কিছু ছেলেমেয়ে ঘুরে ঘুরে দশ হাজার মানুষকে স্পর্শ করলো! এটা আদর্শের জোর ছাড়া হয়? শুধু লোক জড়ো করলেই কি সংগঠন বলা যায়?”
তবে কর্মীদের আক্ষেপ, আরও বেশি মানুষের কাছে যেতে পারলে ভালো হতো। এক শিক্ষার্থী তো ভোট দিয়ে বলেই ফেলেছিলেন,“আমি আরও দুটো ভোট দিতে চাই।” কেন জিজ্ঞাসা করা হলে বললেন,“আমার দুজন রুমমেট। আমি জানি তারা থাকলে সুন্দরবনের পক্ষেই ভোট দিতো।”
কেউ বুঝুক না বুঝুক, আমরাতো জানি আমাদের কী ভয়াবহ ক্ষতি হতে যাচ্ছে।”
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও নাটক মঞ্চস্থ
গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল এবং আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের নামে বাংলাদেশকে মরুভূমি করার চক্রান্তের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও নাটক মঞ্চস্ত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সমস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মশিউর রহমান এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহাথির মুহাম্মদ। আলোচনা সভার পর জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার পরিবেশিত নাটক ‘একটি নন ফিকশন’ মঞ্চস্থ হয়।
সুন্দরবন রক্ষায় বগুড়ায় সাইকেল র্যালি
গত ১৬ নভেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বগুড়ায় সর্বস্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সাইকেল র্যালি উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুল হক দুলু।
অনার্স ১ম বর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে ছাত্রফ্রন্টের মিছিল
গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কলেজ শাখার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার একটি মিছিল কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে অর্থনীতি বিভাগের সামনে সংগঠনের সভাপতি পরমানন্দ দাসের সভাপতিত্বে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি শামীম আরা মিনা, কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম, দপ্তর সম্পাদক বন্ধন কুমার বর্মণ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভর্তি সংকট নিরসনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন নতুন বিভাগ চালুসহ স্বতন্ত্র পরীক্ষা হল, পর্যাপ্ত ক্লাশ রুম নির্মাণ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করা এবং লাইব্রেরী সেমিনারে পর্যাপ্ত নতুন সংস্করের বই ক্রয়ের দাবি জানান।
এম.সি.কলেজ : এম.সি. কলেজের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ১ম বষের্র নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ১৫ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এম.সি. কলেজ শাখার অন্যতম সংগঠক সাদিয়া নোশিন তাসনিম এর সভাপতিত্বে ও আল-আমিন এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি ছাত্রনেতা রেজাউর রহমান রানা, সাধারন সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমেদ, কলেজ শাখার সংগঠক পিংকি চন্দ প্রমুখ।
সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে গাইবান্ধায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ
রামপালে সুন্দরবন বিধ্বংসী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট গাইবান্ধা সরকারি করেজ শাখার উদ্যোগে ২১ নভেম্বর সকালে সরকারি কলেজে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে। সংগঠনের কলেজ শাখার সভাপতি পরমানন্দ দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি শামীম আরা মিনা, কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম প্রমুখ।