সুন্দরবন রক্ষা ও রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে ২৬ জানুয়ারি হরতালের সমর্থনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) লালবাগ থানা শাখার উদ্যোগে ২০ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় পলাশীর মোড় থেকে শুরু করে ঢাকেশ্বরী মোড়, লালবাগ চৌরাস্তা, গোর-এ শহীদ মাজার, আজিমপুর বাসস্টেন পর্যন্ত প্রচার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বাসদ (মাকর্সবাদী) লালবাগ থানা শাখার ইনচার্জ কমরেড শরীফুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মাকর্সবাদী) লালবাগ থানা সংগঠক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সংগঠক ইউসুফ আলম, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সংগঠক সবিতা সরকার মনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বোরহান উদ্দিন কলেজ শাখার ছাত্রনেতা ছায়েদুল হক নিশান, বদরুন্নেসা কলেজ শাখার ছাত্রনেতা মিশুক দত্ত, ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক নাজমুল সাদ্দাম ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল সরদার, ইডেন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক তৌফিকা লিজা।
পথসভায় বক্তারা বলেন, সরকার রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর থেকেই দেশের সমস্ত স্তরের মানুষ এ প্রকল্পকে ধ্বংসাত্মক প্রমানিত করে প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের এনটিপিসি কোম্পানীকে তার নিজ দেশের পরিবেশ অধিদপ্তর রাজীব গান্ধী পার্ক থেকে ২৪ কিমি দূরবর্তী স্থানে কয়লঅভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন করেনি। আমাদের দেশের সরকার প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা পৃথিবীর একমাত্র ‘ম্যানগ্রোভ বন’ সুন্দরবন থেকে ১৩ কিমি নিকটবর্তী স্থানে এই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে।
যে চুক্তি হয়েছে- সেটা অসম। সমস্ত দিক হতে ক্ষতিগ্রস্থ হব আমরা আর লাভবান হবে সা¤্রাজ্যবাদী ভারত। বিপুল প্রাণের সম্ভার বিনাশ হবে। সুন্দরবনের নদী-পানি-বায়ু দূষিত হবে। ভয়াবহ কার্বন নিসরন এসিড বৃষ্টি ঘটাবে। সরকার জনমত উপেক্ষা করে গাঁয়ের জোরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।
নেতৃবৃন্দ সুন্দরবন রক্ষার ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় কমিটি আহুত সারা ঢাকায় আগামী ২৬ জানুয়ারির হরতাল সফল করার জন্য আহ্বান জানান।