আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী ও স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থানের জবাব দিন
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আহুত আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় অর্ধদিবস (৬টা – ২টা) হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আগামীকালের হরতাল বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষা করে দেশ ও মানুষ বাঁচানোর দাবিতে। পাশাপাশি, জনমত-যুক্তি-তথ্য-বিজ্ঞান সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের জবরদস্তিমূলক ও স্বেচ্ছাচারী ভূমিকার প্রতিবাদ জানাতে এই হরতাল। মুষ্টিমেয় দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থে দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধী তথাকথিত উন্নয়ন দর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামীকালের হরতাল।”
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, “রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বামপন্থী দলগুলোর সমর্থনে জাতীয় কমিটি দীর্ঘ ও ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো উপেক্ষা ও বিদ্রুপ করে, কখনো অপপ্রচার চালিয়ে ও সময়ে সময়ে দমন-পীড়নের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে থামাতে চেয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিক আন্দোলন ও যুক্তি-তর্কের ফলে সুন্দরবনের গুরুত্ব এবং এ প্রশ্নে সরকারের গণবিরোধী অবস্থান বিষয়ে মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছে। গত কয়েকমাসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে প্রতীকী গণভোট আয়োজন করেছে তার ফলাফলে দেখা যায় – ৪০ হাজারের মত ভোটদাতার মধ্যে সুন্দরবনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯২.০৭%, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৭.১৭%। আজ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত সৃষ্টি হয়েছে, ইউনেস্কো তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছে। তবু সরকার অনড়। ফলে, জোরালো গণআন্দোলনের চাপেই কেবলমাত্র এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে গণবিরোধী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলে বাধ্য করা সম্ভব। আগামীকালের হরতালসহ ভবিষ্যৎ আন্দোলনে জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে আন্দোলনকে সেই মাত্রায় তুলতে।”