বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে ২৬ মার্চ ২০১৭ সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, কমরেড মানস নন্দী, কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল ও কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিকের নেতৃত্বে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহীনি বাঙ্গালী নিধনে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। পাকিস্তানি হানাদার বাহীনিকে প্রতিরোধ করতে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ শ্রমিক-কৃষক সহ সকল স্তরের মানুষ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। প্রায় ঔপোনিবেশিক শাসন ও শোষণ-বঞ্চণার নিগড় থেকে মুক্তির আশায় লড়াই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় দেশের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। দেশের শ্রমিক-কৃষক সহ সাধারণ মেহনতী মানুষ যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তা আজও অপূরিত। কারণ বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী স্বাধীনতাকে তাদের নিজেদের শ্রেণী স্বার্থে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার কাজে ব্যবহার করেছে। পাকিস্তানি প্রায় ঔপোনিবেশিক শাসন ব্যবস্থায় শ্রমিক-কৃষক মেহনতী মানুষ যে শোষণ-বঞ্চণা-নির্যাতনের মধ্যে ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে সে অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। বরঞ্চ বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণী শ্রমদাসত্বের জীবন যাপন করছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও দেশের শ্রমিক-কৃষক মেহনতী মানুষের আকাঙ্খিত শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে, পুঁজিবাদ বিরোধী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম বেগবান করা। পুঁজিবাদ বিরোধী সংগ্রাম বেগবান করে সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাখো শহীদের অপূরিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।
এছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, রাশেদ শাহরিয়ার প্রমুখের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুনের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।