প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ৩ এপ্রিল ২০১৭ বেলা ১২.৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া ছাত্র বেতন বৃদ্ধির বক্তব্য প্রত্যাহার ও পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বৃদ্ধি করা হলে স্বাভাবিকভাবেই নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এমনিতেই দেশে পিরামিড আকৃতির শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা প্রাথমিক শিক্ষায় অনুপ্রবেশ করে তার মাত্র শতকরা ৪ ভাগ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাই। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ‘টাকা যার, শিক্ষা তার’এ নীতিকেই কার্যকর করবে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামে-বেনামে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে লাগে অন্তত ১০,০০০ টাকা । নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ফি ২৫,৫০০ টাকা। এরপরেও অর্থমন্ত্রীর ২০ টাকা বেতনে পড়ালেখা করার বক্তব্য শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণকেই আরো উৎসাহিত করবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পিএসসি -জেএসসি-এসএসসি-এইচএসসি সহ সমস্ত পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িতরা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রশ্নফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস বন্ধ হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অর্থমন্ত্রীর ছাত্র বেতন বৃদ্ধির বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।