গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে ৭ এপ্রিল ২০১৭ বিকেল ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রস্তাবিত নিরাপত্তা স্মারকের মাধ্যমে যে কোন ধরণের সামরিক চুক্তি করে ভারতের সামরিক পরিকল্পনার অংশ বানানোর চক্রান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য কমরেড আ ক ম জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম সবুজ।
বাম মোর্চার সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মধ্যে কোন আলোচনা না করে, অস্বচ্ছতা ও গোপনীয়তার মধ্যে তড়িঘড়ি করে যেভাবে এ সামরিক সহযোগিতা স্মারক হতে যাচ্ছে, তা জনমনে সন্দেহের উদ্রেক করেছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কারো ওপর নির্ভরশীলতা বা কারো সাথে বিরোধ চায় না, তারা সকলের সাথে সমমর্যাদা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ-সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। ভারতের জনগণ আমাদের বন্ধু, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর সামরিক পরিকল্পনার সাথে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হবে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র নয়, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চায়। তিস্তার পানিবন্টনে কোন অগ্রগতি নেই, পদ্মায় ধূ-ধূ বালুচর, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি সরিয়ে নেয়ার ফলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষের এ জীবন-মরণ সমস্যায় ভারত কোন ছাড় দিচ্ছে না। অথচ, মহাজোট সরকার ভারতের সমর্থন পেতে স্বল্প শুল্কে ট্রানজিট, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ নানা একতরফা সুবিধা তাদের দিয়ে চলেছে।”
নেতৃবৃন্দ এধরনের জনস্বার্থবিরোধী চুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। তাঁরা সরকারের এই পাঁয়তারার বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার থাকার আহবান জানান।