ভার্স্কয অপসারণের প্রতিবাদে ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের ব্যাপক টিয়ারশেল, জলকামান এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমাজতান্ত্রিক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ২৬ মে বেলা ১০ টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর সকাল ১১ টায় রাজু ভাস্কর্যে প্রগতিমনা ছাত্র জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে হাইকোর্ট অভিমুখে যাওয়ার পথে পুলিশ বিনা উস্কানিতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে মারতে থাকে। এতে আহত হয় ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তা ভট্টাচার্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিলর সদস্য সঞ্জয় দাশ ও শামীম আরা মিনাসহ আরও দশ নেতা কর্মী। গ্রেপ্তার হন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বর্তমান সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।
হামলা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি নাঈমা খালেদ মণিকা বলেন, “ ২৫ তারিখ রাত থেকে ভাস্কর্য অপসারণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলছে। ভাস্কর্য অপসারনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী সরকারের সাথে মৌলবাদী শক্তির আপোষ জনগণের সামনে স্পষ্ট করেছে। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এ সরকারের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতাণিÍ্রক অধিকার, দেশের সম্পদ কিছুই আজ নিরাপদ নয়। অতীতের গণবিরোধী স্বৈরাচারী সরকারগুলো যেমন গদি রক্ষার জন্য ধর্মকে কাজে লাগিয়েছে, তেমনি আজ অব্যাহত গণঅসন্তোষকে ভিন্ন দিকে মোড় ঘোরাতে সরকার পাঠ্যবই থেকে শুরু করে ভাস্কর্য অপসারণ মতো কাজ করছে। দেশে হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, কয়লা বিদ্যুতে সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে, একের এক প্রশ্ন ফাঁস, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি এসব নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তাদের দাবির প্রতি কোন তোয়াক্কা নেই। কিন্তু ধর্মান্ধদের কাছে পাঠ্যবই, পহেলা বৈশাখ, ভাস্কর্য ছাড়া দেশে আর কোন সমস্যা নেই। তাই জনগণের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার ধর্মান্ধগোষ্ঠীর দাবি মেনে মানুষের সাথে ভাওতাবাজি করছে। এসব করে অতীতেও কেউ পার পায়নি, এ সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে না। অবিলম্বে নেতৃবৃন্দ ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের দাবি জানান। এই বর্বোরচিত পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সকল জেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কর্মসূচী ঘোষণা করেন।