প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার প্রায় একশত দিন শেষ হল। এরই মধ্যে নাভিশ্বাস উঠছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের নাগরিকদের। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে যখন তাঁর বিজয় প্রায় আসন্ন তখনই মানুষের মাঝে “কি হবে! কি হবে!” রব উঠেছিল। সমগ্র বিশ্বে কায়েমী স্বার্থবাদীদের বাইরে যে বিপুল, বিশাল বিবেকসম্পন্ন মানুষ তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে নিষ্ঠুর, নিষ্করুণ, প্রাক্তন হলিউড খলনায়ক, ধনকুবের, অরাজনৈতিক, দক্ষিণপন্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধকবলিত বিশ্ব যে আরো অধিকতর সংকটে নিমজ্জিত হবে তা সকলেই বুঝতে পারছিল। তারপরও মানুষ হয়তো ভাবেনি যে এত দ্রুত সব ঘটনা ঘটতে শুরু করবে।
গত ৩০ এপ্রিল ২০১৭ তে পেনসেলভিনিয়া অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ১০০ দিন পূর্তির বক্তব্য রাখলেন। তাঁর সমগ্র বক্তব্য ছিল আস্ফালনে পরিপূর্ণ। কত দ্রুততার সাথে কত আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার ফিরিস্তি। যেভাবে হিটলার জার্মানীতে উগ্র জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল তেমনি ট্রাম্পের স্লোগান হল, “Make America Great Again!”। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিয়ে একটি মহৎ মার্কিন জাতিকে, তার মেহনতি জনতাকে মার্কিন কর্পোরেট পুঁজির সেবাদাসে পরিণত করতে চাইছে। মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি যদিও পূর্বের উত্তরসূরীদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে তারপরও ম্যাক্সিকো বর্ডার রক্ষার নামে দেয়াল নির্মাণ, নাফটা চুক্তি ভেঙে দেয়ার পক্ষে জোড়ালো বক্তব্য, ট্রান্স প্যাসিফিক চুক্তির মারমুখী সমালোচনা, বৈধ-অবৈধ ইমিগ্রেন্টদের বিতাড়িত করতে উদ্যত হওয়া, তীব্রভাবে বর্ণবাদ উস্কে দিয়ে খুনোখুনির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, ইউরোপে নব্য ফ্যাসিবাদের সাথে মাখামাখি প্রভৃতি আলামাত দেখলে বোঝা যায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন একেবারেই ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনা করতে চাইছে। হিটলারের মত অপরাপর দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক এড়িয়ে গিয়ে অস্ত্র আর অর্থনৈতিক অবরোধকে এই প্রশাসন মূল হাতিয়ার করতে উদ্যত। পূর্বেকার প্রশাসন হয়তোবা এক্ষেত্রে কিছুটা নরমপন্থা অবলম্বন করেছে কিন্তু বর্তমান প্রশাসন ক্ষমতায় এসে পূর্বেকার প্রশাসনের সামরিক অর্থনীতিতে বরাদ্দ হ্রাস (sequestration) বাতিলকরণ, অস্ত্র হ্রাস বাতিলকরণ, আগাম যুদ্ধনীতি অবলম্বন প্রভৃতির মাধ্যমে এমন এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরী করেছে যে মার্কিন প্রশাসনে এখন আর অণুপরিমাণ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যেতে চাইছে না।
এ প্রেক্ষাপটে আসা যাক্ এই মূহুর্তের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যু – সিরিয়া আর উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে। সিরিয়ায় গত ৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ইদলিব প্রদেশের খান শেখউন অঞ্চলে রাসায়নিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। কারা এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে? গত মার্চ মাসে চীনের সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাসার-আল-আসাদ সন্তোষের সাথে আলেপ্পো পুনঃদখলের বিষয়টি আলোচনায় আনেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাথ পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার যে চরম মৌলবাদী গোষ্ঠীসমূহ অর্থাৎ আই এস, আল নুসরাহ, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি প্রভৃতি শক্তিকে পরাস্ত করার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জনের দিকে এগোচ্ছিলেন তার বিবরণ করছিলেন। ঠিক সেরকম একটি সময়ে সিরিয়ায় তথাকথিত রাসায়নিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংবাদ মাধ্যমে বলা হয় জন প্রাণ হারিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী সংবাদ মাধ্যমে রাসায়নিক গ্যাসে বিপর্যস্ত মানুষের মৃতদেহ আর সেসকল মানুষদের দুঃসহ সব ছবি প্রচার করা হয়। এ ঘটনাকে অজুহাত করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে টমহক মিসাইল আক্রমণ করে।
রাশিয়া, চীন এমনকি মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্য থেকে দাবি ওঠে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। প্রেসিডেন্ট আসাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বারংবার বলেন যে, সিরিয়ায় ২০১৩ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞ দল সকল রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে যার ফলে সিরিয়ার সরকারের কাছে আর কোন রাসায়নিক অস্ত্র নেই। যদিও তিনি এই ঘটনা আদৌ ঘটেছে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন এবং আহতদের বিভিন্ন ছবি তাঁকে দেখানো হলে তিনি সন্দিহান প্রকাশ করে বলেন এ ছবি কৃত্রিমও হতে পারে। তারপরও তিনি বলেন যে, ইতিমধ্যে জঙ্গীদের হাতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ আছে। যেহেতু সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি বিদ্যমান তাই যেকোন বাহিনীর অস্ত্র হামলায় রাসায়নিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে এ পরিস্থিতি ঘটতে পারে। কিন্তু এঘটনাকে অজুহাত করে যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে পুরো বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করে দিল তাতে সুস্পষ্ট বোঝা যায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অজুহাত তুলেছে। এ ঘটনার অজুহাতে সিরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরপিত্তা পরিষদে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রস্তাব দেয়া হয় যা রাশিয়া ও চীনের ভেটো প্রয়োগের কারণে বাতিল হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট আসাদ ২০১২ সালে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসেন। রাশিয়া বহুকাল ধরে সিরিয়ার মিত্র শক্তি। তাই সিরিয়া সরকারের আহ্বানে রাশিয়া এগিয়ে আসে এবং জঙ্গী দমনে সিরিয়াকে সক্রিয় সামরিক সহায়তা প্রদান করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সিরিয়ায় জঙ্গী দমনের নামে বোমা বর্ষণ শুরু করেছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আসাদের মতে জঙ্গী দমনে রাশিয়া যত কার্যকর ভূমিকা রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ততটাই বিতর্কিত। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গী বাহিনীগুলোকে সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে, সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং আল কায়েদা, আইএস প্রভৃতির মাধ্যমে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত আসাদ সরকারকে উচ্ছেদে লিপ্ত আছে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেগরেই ল্যাভরভ এর সাথে বিবাদ এত তীব্র করে তুলেছে যে এর ফলে যুদ্ধকে আরো তীব্র করে তোলার জন্য কুটনৈতিক প্রক্রিয়াকে ক্রমাগত বিপন্ন করে তুলছে।
এবার আসা যাক উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে। বিশ্বের দশটি পরাশক্তির মধ্যে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান দশম। তার দশটি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। উত্তর কোরিয়া এখনও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ধরে রেখেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তথাকথিত গণতন্ত্রের প্রশিক্ষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার তাঁবেদার রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন যাবত সমাজতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়ার উপর নানাকারণে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে যখন সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করলো তখন দুর্ভিক্ষগ্রস্ত হয়ে উত্তর কোরিয়ার লোক অনাহারে মৃত্যুবরণও করে। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর দাঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়া সেদেশের জনগণকে একটি উন্নত জীবনমান দিতে পেরেছে। অধিকন্তু পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের কবল থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শক্তিশালী সামরিক ব্যবস্থা গড়ে তুলে পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। তবে একথা না বলে পারা যায় না যে পাকিস্তান বা ভারত নব্য পরাশক্তিতে পরিণত হয়েই যেমন দেশের বুভুক্ষ মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে যথাক্রমে ৮০ ও ৯০-১১০টি পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয়েছে আর মানবতার দুশমন ইসরায়েল রাষ্ট্র ৮০টি পারমাণবিক বোমাসহ অপরাপর মারণাস্ত্রের নিষ্ঠুর প্রয়োগের মধ্য দিয়ে প্রাচীন সভ্যতার দেশগুলোকে ভূলুন্ঠিত করছে, উত্তর কোরিয়ার সামরিক প্রস্তুতি কেবলমাত্র আত্মরক্ষার প্রয়োজন থেকে। সম্প্রতি ট্যুরিস্ট বা সাংবাদিকদের তোলা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায় সেদেশের হেক্টরের পর হেক্টর ফসলের মাঠ, অত্যাধুনিক শিল্প কারখানা, আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি এবং সংস্কৃতি আর সুস্থ বিনোদনের প্রবাহ। এরই মধ্যে একদল সামরিক বিশেষজ্ঞ আবার দেশটি রক্ষার প্রয়োজনে সাধ্য অনুযায়ী সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসাবে কিছু ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন, পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষণ ইত্যাদি রুটিন সম্পন্ন করছে। তাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অজুহাত পেয়ে গেল তার ভয়াবহ মারণাস্ত্রবহনকারী নৌবহর পাঠিয়ে দেয়ার। তার সাথে যোগ দিতে রওনা হয়ে গেল আর একটি যুদ্ধবাজ দেশ জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই জাপান কিভাবে মার্কিনীদের নাস্তনাবুদ করেছিল আর তা থেকে পরিত্রাণ পেতে তাদের ধর্ণা দিতে হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার কাছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া তীব্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাপানকে পরাজিত করে। যাই হোক, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লে.জে. ম্যাকমাস্টার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চরম উপেক্ষা হিসাবে গণ্য করে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেন এবং উত্তর কোরিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকিস্বরূপ বর্ণনা করেন। মাত্র ১০ টি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয়ে উত্তর কোরিয়া যদি প্রায় ৭৪০০ টি পারমাণবিক অস্ত্রধারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয় আর যখন মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করছে ইরান, সিরিয়া, লেবাননসহ জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রগুলোকে আর মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, স্বস্তি, ঐতিহ্য সবকিছু বিনষ্ট করছে তখন বুঝতে হবে এধরণের উক্তির পিছনে উদ্দেশ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা নয়। এধরণের পরিস্থিতিতে ইসরায়েল নিরাপত্তা হুমকি না হয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন নির্ঝঞ্জাট একটি রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া যদি নিরাপত্তা হুমকি হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করা এবং তা টিকিয়ে রেখে অস্ত্রের বাজারটি আরো চাঙ্গা করা।
মার্কিন অর্থনীতি হল নিরঙ্কুশভাবে সামরিক অর্থনীতি। তাই যুদ্ধ অথবা যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলে না। এলক্ষ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি, যুদ্ধ উন্মাদনা, মিথ্যা অপপ্রচার প্রভৃতির মাধ্যমে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সন্দেহ সৃষ্টি করে অস্ত্রের বাজার সৃষ্টি এ সংস্থাটির একটি প্রধান কাজ। এর সাথে রয়েছে কর্পোরেট মিডিয়া, লবিইস্ট প্রভৃতি যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল-মিলিটারী কমপ্লেক্সের পক্ষে রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে কাজ করে। মার্কিন জনগণকে বিকৃত সংস্কৃতি আর কর্মচাঞ্চল্যের বেড়াজালে এমনভাবে আটকে রেখেছে যে এর মধ্যে থেকে সত্য উদঘাটন করে সাধারণ মানুষের পক্ষে সঠিক অবস্থান গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব। তাই শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এত অনাচার মোকাবেলা করে স্বীয় স্বার্থ হাসিলের পরিবর্তে শাসকগোষ্ঠির অনুচর হিসাবে দাসানুদাসে পরিণত হয়েছে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উন্নত জনগোষ্ঠী। আবার অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন যুদ্ধনীতি বরদাস্ত না করার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। মার্কিন জনগণ এর এ লড়াই সমগ্র বিশ্ববাসীর। মেহনতী মানুষের জয় অবশ্যম্ভাবী।