বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রাঙ্গামাটি জেলার উদ্যোগে ১৯ জুন ২০১৭ রাঙ্গামাটি টেলিভিশন আশ্রয় কেন্দ্র এবং সরকারি কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের মাঝে দুধসহ অন্যান্য শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ মার্কসবাদী কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য কমরেড শফিউদ্দিন কবির আবিদ, রাঙ্গামাটি জেলা সংগঠক কলিন চাকমা, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুশান্ত বড়ুয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তা ভট্টাচার্য্য এবং শহর কমিটির সদস্য সুনীল বিকাশ চাকমা ও সুনীল কান্তি চাকমা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন পাহাড় ধবসে ছয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সুনির্দিষ্ট করতে পারে নাই। নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যে সামান্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয় তা এখনও প্রদান করা হয়নি। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ত্রাণ প্রদান পর্যাপ্ত নয় বলে পরিবারগুলো শোচনীয় জীবন যাপন করছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে ভূমিহীন দরিদ্র মানুষই মূলত পাহাড়ের পাদদেশে বসত গড়ে নিরুপায় হয়ে। পাহাড়ী অঞ্চলে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, পর্যটনের নামে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পাহাড়ের স্বাভাবিক বনাঞ্চল ধবংস করে রাবার বাগান, সেগুন বাগানের জন্য লিজ দেওয়ার ফলে পাহাড়গুলোর স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। শাসকগোষ্ঠি পক্ষ হতে এ বিপর্যয় প্রাকৃতিক দেখানো হলো তা আসলে মনুষ্যসৃষ্ট। এতে করে ভূমিধসে মৃত দরিদ্র মানুষের প্রতি সরকারের চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকেই তুলে ধরছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ প্রদান করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহকে সরকারের উদ্যোগে দীর্ঘস্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানান। পাশাপাশি পরিবেশবিদ, ভূতত্ত্ববিদসহ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে পাহাড়ী ধসের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।