সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে সারা দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে খাবার স্যালাইন সরবরাহের জন্যে স্যালাইন প্রজেক্ট কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। ২৭ আগষ্ট ২০১৭ সাড়ে ৪টায় স্যালাইন প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আকমল হোসেন।
উদ্বোধন কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরিণ, এআইএমএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা। উদ্বোধনী কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছাত্র নেতা স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু। স্যালাই প্রজেক্ট উদ্বোধন কর্মসূচীতে অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সে সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ত্রাণ তৎপরতা এবং ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্যালাইন প্রজেক্ট খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এধরনের উদ্যেগে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সামাজিক সংকট মোকাবেলায় শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে সংকটগ্রস্ত অসহায় মানুষরা ভরসা পায় এবং সমাজে মানবিক মূল্যবোধের বিস্তার ঘটে।’ বন্যায় দেশের উত্তরবঙ্গ প্লাবিত হওয়ার পর থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ সংগ্রহ এবং দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সহ দেশের মধ্যাঞ্চলে যখন পানি নেমে যাচ্ছে এসময় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ক্রমাগত বাড়ছে। সরকারী হিসেব মতে বন্যার্ত অঞ্চল গুলোতে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এবং প্রতিদিনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এখন বন্যার্ত মানুষরা ডাইরিয়া-কলেরা সহ পানিবাহিত নানা ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এমতবস্থায় বন্যার্ত রোগীদের জীবন বাঁচানের জন্য প্রচুর স্যালাইন সরবরাহ করা প্রয়োজন। সেই জন্য আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে স্যালাইন প্রজেক্ট কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমান মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। প্রত্যন্ত দূর্গত এলাকায় যেখানে মানুষরা ডায়রিয়াসহ নানাবিধ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেখানকার মানুষরা প্রয়োজনীয় ঔষুধসহ পর্যাপ্ত মেডিক্যাল সেবা পাচ্ছে না।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সকল দুর্গত অঞ্চলে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় এবং শিক্ষার্থীদের বন্যার্ত মানুষদের সহযোগীতার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্যালাইন প্রজেক্ট ও চলমান ত্রাণ তৎপরতায় অংশগ্রহনের আহ্বান জানানো হয়।