১৯৬২ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সরকারের শরীফ কমিশনের শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষক-জনতার উপর পুলিশ নির্যাতন চালাই। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ নিহত সহ আরও অনেকে আহত ও গ্রেপ্তার হয়। এরপর সারাদেশে আন্দোলনের মুখে শরীফ খান শিক্ষা নীতি বাতিল করতে বাধ্য হয়।
এই উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট খাগড়াছড়িতে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। র্যালীটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে শুরু করে শাপলা চত্বরের দিকে এগুতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়।
এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, খাগড়াছড়ি শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম কৃষ্ণ দে এর সঞ্চালনায় ও ছাত্র ফ্রন্ট, শহর শাখার আহ্বায়ক কবির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুল বিষয়ক সম্পাদক তাজ নাহার রিপন, ছাত্র ফ্রন্ট শহর শাখার সদস্য স্বাগতম চাকমা, বিমল কান্তি ত্রিপুরা ও খাগড়াছড়ি কলেজের শিক্ষার্থী চাইশেপ্রু মারমা।
বক্তারা শিক্ষা দিবসের চেতনায় পার্বত্য অঞ্চল সহ সারা দেশের শিক্ষা সংকোচন ও শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তারা আরও বলেন শাসকগোষ্ঠীর নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষেরা উপেক্ষিত। খাগড়াছড়ি জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সামগ্রিক আয়োজন অপ্রতুল। এছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদ দুর্নীতি, দলবাজি, আত্মীয়করণ, লক্ষ লক্ষ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ করেন। খাগড়াছড়ি কলেজের সংকটের কথা তুলে ধরে এবং এই সংকট থেকে একমাত্র মুক্তির পথ আন্দোলন। তাই সবাইকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।