কমরেড জয়জিৎ বড়ুয়া বিপ্লবী সংগ্রামে ছিলেন প্রাণবন্ত, জীবন্ত এক চরিত্র
কমরেড জয়জিৎ বড়ুয়া ছিলেন প্রাণবন্ত, জীবন্ত এক চরিত্র। ছাত্রাবস্থায় তিনি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সভাপতি এবং ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি তাঁকে আমরা হারিয়েছিলাম মাত্র ৩৪ বছর বয়সে। সহজ-সরল জীবনযাপন, মানুষকে আপন করে নেবার ক্ষমতা, বিনয়ী কিন্তু দৃঢ় নীতিনিষ্ঠতা, উন্নত সংস্কৃতি দিয়ে কমরেড জয়জিৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের আপনজনে পরিণত হয়েছিলেন। ছাত্রজীবন শেষে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার ভিত্তিতে বিপ্লবী পার্টি সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। কমরেড জয়জিৎ বড়ুয়া আমাদের সামনে রেখে গেছেন — কী করে বিপ্লব ও শোষিত মানুষের সংগ্রামে একাত্ম হতে হয়। সে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি।
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর পাঠ
‘আমরা চাই প্রাণবন্ত শৈশব, দুরন্ত কৈশোর’ — এই স্লোগান নিয়ে শিশু কিশোর মেলা, ঢাকা নগর শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর পাঠ ২০১৭’। ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে গান, কবিতা আর চিত্রাঙ্কন কর্মশালার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কে কল্পনা করে ‘রণাঙ্গন থেকে প্রিয় মানুষকে চিঠি লেখা’-র আয়োজন ছিল খুবই প্রেরণার। দিনের শেষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সকলকে ’৭১ -এ ফিরিয়ে নিয়ে যায়। উন্নত রুচি আর বিকশিত জীবন গড়ার শপথ নিয়ে আয়োজন শেষ হয়।
ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত
গত ২৭ ডিসেম্বর সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট, নোয়াখালী জেলার উদ্যোগে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার আহ্বায়ক তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু। আলোচনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। পরিচালনা করেন জেলার সদস্য দলিলের রহমান দুলাল। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিগণ সংগঠন ও আন্দোলন বিষয়ে মতামত দেন।