গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করে অবিলম্বে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলা এই সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারাকে পুনরায় উন্মোচিত করেছে। এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে উস্কানি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬% কোটা যে যৌক্তিক হতে পারে না তা সর্বমহল কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে। ফলে কোটার পরিমাণ কমিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ বাড়ানোর দাবির প্রতি সবারই সমর্থন রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান-স্বীকৃতি জানানোর বহু পথ রয়েছে। তাদের পরিবারবর্গের জন্য অস্বাভাবিক উচ্চহারে ৩০% কোটা সংরক্ষণ করে বাস্তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও দলীয়করণের স্বার্থেই এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধুয়ো তুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। অন্যদিকে, সমাজের অনগ্রসর অংশের জন্য কিছু পরিমাণ কোটা সংরক্ষিত থাকার প্রয়োজন, এটা সংবিধানেও স্বীকৃত এবং বিশ^ব্যাপী প্রচলিত। এর পরিমাণ আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে শুধু কোটা সংস্কার করে বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। কোটার হার কমানোর পাশাপাশি নিয়োগবাণিজ্য-দুর্নীতি বন্ধ এবং সকল নাগরিকের কাজ পাবার অধিকার রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।