গত ৫ মে ছিল মহান দার্শনিক, সর্বহারার মহান নেতা কার্ল মার্কসের ২০০তম জন্মবার্ষিকী। ১৮১৮ সালের ৫ মে, প্রুশিয়ার (একীভূত রাষ্ট্র হিসেবে তখন পর্যন্ত জার্মানি গঠিত হয়নি, প্রুশিয়া তখন একটি আলাদা রাজ্য) রাইন প্রদেশের ট্রিয়ের শহরে এই মহান দার্শনিকের জন্ম হয়। হেগেল দ্বারা প্রভাবিত একজন বিপ্লবী গণতন্ত্রী (Radical democrate) হিসেবে মার্কসের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়। আর তাঁর জীবন যখন সমাপ্ত হয়, তখন তিনি মানবমুক্তির দর্শন মার্কসবাদের উদগাতা যে আদর্শ নিয়ে বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে এখনও মানুষ লড়াই করে যাচ্ছে।
এ উপলক্ষে গত ৫ মে বাসদ (মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে ঢাকার তোপখানাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এবং বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “মার্কসের মৃত্যুর দু’দিন পরে, তৃতীয় দিনে মার্কসের সমাধিক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে তাঁর অকৃত্রিম বন্ধু এঙ্গেলস বলেছিলেন, ‘আমাদের সময়ে সবচাইতে বড় চিন্তাবিদ যিনি ছিলেন দু’দিন আগে তিনি চলে গেছেন।’ এটা অত্যন্ত সত্য কথা। মার্কসের কালে কোনো মানুষ ছিলেন না যার সাথে তাঁর তুলনা চলে। আমরা ডারউইনের কথা জানি, তিনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, মার্কস এনেছেন সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে। কিন্তু মার্কসের ক্ষেত্রটা অনেক বেশি প্রসারিত ছিল। ডারউইন তাঁর বিশেষ ক্ষেত্রে চিন্তা করেছেন, মার্কস কিন্তু ডারউইনের তত্ত্ব ও অন্য সমস্ত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সংযোজিত করেছেন। সে জ্ঞান জার্মান দর্শনের, সে জ্ঞান ফরাসি বিপ্লবের চর্চার, সে জ্ঞান ইংল্যান্ডের অর্থনীতির চর্চার। এই সমস্ত জ্ঞানকে একসাথে করে তিনি তাঁর তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন এবং সকলকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাঁর কালে তিনি শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ছিলেন। কিন্তু সেটাই একমাত্র পরিচয় নয়। এঙ্গেলস বলছেন যে, তাঁর আরেকটা পরিচয় এবং সেটাই প্রধান পরিচয় যে, মার্কস ছিলেন আগাগোড়া বিপ্লবী। তিনি মহৎ একারণে যে, তিনি সবসময়েই বিপ্লবী এবং তাঁর জীবনের সাধনাই ছিল বিপ্লবের সাধনা। তাই এই দু’টো জিনিস একসাথে মিলেছে। একদিকে বৈজ্ঞানিক চিন্তা, দার্শনিক চিন্তা এবং আরেকদিকে বিপ্লবের পক্ষে কাজ করা — এই দুই সমন্বয় দর্শনের ইতিহাসে খুব বিরল ঘটনা। তিনি একদিকে তত্ত্ব দিচ্ছেন, আরেকদিকে সংগ্রাম করছেন এবং সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মার্কস তাঁর মেয়ে লরার খাতাতে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তাঁর নিজের সম্বন্ধে। এই খাতার মধ্যে (নোটবুক, ১৯৬০ এর দশকে প্রকাশিত) তিনি কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। সেটা দেখলেই বোঝা যাবে তিনি শুধু একজন দার্শনিক বা বিজ্ঞানী নন, তিনি একজন স্নেহময় পিতা, একজন মানবিক মানুষও। তিনি নিজের যে গুণটিকে সবচেয়ে বড় বলে মনে করতেন তা হলো তাঁর সরলতা। মানুষের যে গুণটিকে তিনি সবচেয়ে বড় বলে মনে করতেন তা হলো তাদের শক্তি। লড়াই করাটা তাঁর কাছে ছিল সুখের। একারণে এঙ্গেলস তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, ‘মার্কসের মধ্যে আছে আবেগ, আছে সৃজনশীলতা।’
মার্কস দেখিয়েছেন, বস্তু থেকেই মনের সৃষ্টি। আবার বস্তু ও মনের পারস্পরিক সম্পর্ক একরৈখিক নয়, দ্বান্দ্বিক। এই দ্বন্দ্বের তত্ত্বটি তিনি পেয়েছিলেন হেগেলের কাছ থেকে। সেটাকে তিনি বস্তুজগৎ ব্যাখ্যা করতে কাজে লাগালেন, সমাজ ও ইতিহাসকে বিশ্লেষণ করলেন। শ্রেণিসংগ্রামের তত্ত্ব আবিষ্কার করে দেখালেন পরস্পরবিরোধী শ্রেণির দ্বন্দ্বের কারণে সমাজ পরিবর্তিত হয়। এই পুঁজিবাদী সমাজও ভাঙবে। ভাঙবে দুই কারণে— একটা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক কারণ, আরেকটা হচ্ছে মানবিক কারণ। বৈজ্ঞানিক কারণটা হচ্ছে— এই যে উৎপাদনের যে বিশাল শক্তি, যে শক্তি শ্রমিকের আছে, যে শক্তি মানুষের সৃজনশীলতার মধ্যে আছে, সেই শক্তি ব্যক্তিগত মালিকানার যাঁতাকলের মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে। এটা টিকবে না, এটা টিকতে পারে না। অতীতের সভ্যতাগুলো ভেঙে পড়েছে এই দ্বন্দ্বের কারণে, সামন্তবাদ ভেঙেছে, পুঁজিবাদ এসেছে। তার আগে দাসপ্রথা ভেঙেছে, এই সমাজও ভাঙবে — এটা একটা বৈজ্ঞানিক কারণ। এই বিপুল শক্তি এইখানে আটকা পড়ে থাকবে না। দ্বিতীয় কারণ মানবিক। এই মেহনতি মানুষরা বঞ্চিত। তাদের জীবন দুর্বিষহ, পশুর মতো। সেই মানুষ বঞ্চনাকে সহ্য করবে না, ফলে এই ব্যবস্থা মানবিক কারণেও ভাঙবে।”
উপমহাদেশে বামপন্থী আন্দোলন কেন গড়ে উঠল না — এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “এখানে কমিউনিস্ট পার্টিগুলো বরাবরই রাষ্ট্রশক্তির ভয়াবহ নিষ্পেষণের মধ্যে পড়েছে। নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া, কারাভোগ করা ইত্যাদি নিয়মিত চিত্র ছিল। অপরদিকে দলগুলোর মধ্যে পেটিবুর্জোয়া প্রবণতা অর্থাৎ অস্থিরতা, দ্রুত সাফল্য না আসলে হতাশ হয়ে যাওয়া — এই প্রবণতা বিদ্যমান ছিল। তারা নিজেদের দেশ সম্পর্কেও সঠিক বিশ্লেষণ দাঁড় করাতে পারেননি। মস্কো কিংবা পিকিংয়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থেকেছেন। তারা কৃষকের বিশেষ ভূমিকা ধরতে পারেননি। ফলে একদিকে রাষ্ট্রীয় নিষ্পেষণ, অন্যদিকে পেটিবুর্জোয়া প্রবণতা — এখানে কমিউনিস্ট আন্দোলন দাঁড়াতে দেয়নি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো — এখানে কমিউনিস্ট পার্টি জাতি সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারেনি।
এখানে কমিউনিস্টরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা সঠিকভাবে বলতে পারেনি। অথচ কমিউনিজমের প্রথম কথাই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। মৌলবাদের সাথে পুঁজিবাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সকল মৌলবাদীই পুঁজিবাদী। তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে যে দ্বন্দ্ব দেখা যায়, তা হলো ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব।”
তিনি বলেন, “পুঁজিবাদী শোষণে বিশ্বের পরিস্থিতি এবং দেশের পরিস্থিতি কী আজ সবাই জানেন। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী পরিবারও আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কোনো ভবিষ্যৎ কেউ দেখতে পারছে না, চারিদিকে এক আঁধার নেমে এসেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে সমাজতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই।”
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মার্কস প্রথম দিকে হেগেলের চিন্তার অনুসারী ছিলেন। হেগেলের চিন্তা নিয়ে তর্ক করতে করতে হেগেলেরই শিষ্যরা এরপর দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল হেগেলের সমর্থক, আরেকদল হেগেলের সমালোচক। হেগেলের সমালোচনাকারীরা ফুয়েরবাখের নেতৃত্বে লেফ্ট হেগেলিয়ান নামে পরিচিত ছিল। মার্কস লেফ্ট হেগেলিয়ানদের সাথে যুক্ত হন। কার্ল মার্কস কীভাবে ফুয়েরবাখেরও সীমাবদ্ধতা ধরতে পেরেছিলেন এবং তাঁকে অতিক্রম করে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, বিশিষ্ট মার্কসবাদী দার্শনিক ও চিন্তাবিদ কমরেড শিবদাস ঘোষের শিক্ষার ভিত্তিতে এ সম্পর্কে আমি আপনাদের কিছু বলব।
হেগেল ভাববাদী দার্শনিকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। তিনি দ্বন্দ্বতত্ত্বের মূল সূত্রগুলি আবিষ্কার করেন। হেগেল এগুলো ভাববাদী ঢঙে বিশ্লেষণ করেছেন নিছক চিন্তার সূত্র হিসেবে। মার্কস এই নিয়মগুলোকে দেখালেন যে নিয়মগুলো বিশ্বজনীন, বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। হেগেলের সীমাবদ্ধতার আরেকটি দিক ছিল এই যে, তিনি ধরে নিলেন যে, একটা শাশ্বত ভাব এই জগতের স্রষ্টা। বস্তুজগৎ হলো সেই অ্যাবসোলিউট আইডিয়ার ডায়ালেকটিক্যাল এক্সপ্রেশন। কথা উঠল, আইডিয়া যদি অ্যাবসোলিউট হয় তবে এক্সপ্রেশন ডায়ালেকটিক্যাল হয় কী করে? আবার এক্সপ্রেশন যদি ডায়ালেকটিক্যাল হয় তবে আইডিয়া অ্যাবসোলিউট হয় কী করে?
ফুয়েরবাখ হেগেলের এবসোলিউট আইডিয়াকে বাদ দিতে বললেন। তিনি মন ও বস্তুর মধ্যে বস্তুই যে আগে, বস্তুকে কেন্দ্র করেই যে মনের সৃষ্টি হয় — সেটা ধরতে পেরেছিলেন। কিন্তু বস্তু ও মনের মধ্যে দ্বান্দ্বিক সম্পর্ককে তিনি ধরতে পারেননি। ফলে নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ ইত্যাদিকে তিনি শাশ্বত ধরে নিলেন।
এই পটভূমিকায় এলেন মার্কস। মার্কস হেগেলের যুক্তিকে খন্ডন করে দেখালেন যে, বাস্তব জগৎ শাশ্বত ভাবের দ্বন্দ্বমূলক প্রকাশ নয়, বরং বাস্তব জগৎ মানব মস্তিষ্কে প্রতিফলিত হয়ে চিন্তায় রূপান্তরিত হচ্ছে এবং সেটাই ভাব।
মার্কসবাদ সৃষ্টি হয়েছে ইংল্যান্ডের ক্লাসিকাল অর্থনীতি, ফরাসি সমাজতন্ত্র ও জার্মান দর্শনের উৎপত্তির উপর ভিত্তি করে; আবার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ডারউইনের বিবর্তনবাদ, ভরের সংরক্ষণশীলতার সূত্র এবং কোষতত্ত্ব আবিষ্কারের ফলে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আসার ভিত্তি স্থাপিত হয়। মার্কসের আগে প্রত্যেক দার্শনিকই মানুষের জন্য ভেবেছেন, মানুষের কল্যাণের জন্য চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাদের সমস্ত চিন্তাপ্রক্রিয়া ব্যক্তিমানসকে কেন্দ্র করে ছিল, অর্থাৎ চিন্তাপ্রক্রিয়া ছিল সাবজেকটিভ। মার্কসই প্রথম সত্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুসন্ধানকে ভিত্তি করলেন।
শ্রেণিসংগ্রামই সমাজের পরিবর্তনের জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। মার্কস দেখালেন, আজ পর্যন্ত সকল লিখিত ইতিহাসই হচ্ছে শ্রেণিসংগ্রামের ইতিহাস। পরিবর্তনের নিয়মে এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থাও একদিন পরিবর্তিত হবে। সমাজতন্ত্র আসবে। সমাজতন্ত্র হলো একটা অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা। সমাজতন্ত্র থেকে যে পুঁজিবাদে পশ্চাদপসরণ হতে পারে — এ ব্যাপারে মার্কসই সতর্ক করে গেছেন। পুঁজিবাদের গর্ভেই সমাজতন্ত্রের জন্ম হয় বলে সে অর্থনৈতিক, নৈতিক ও বুদ্ধিগত — সকল ক্ষেত্রেই জন্মচিহ্ন বহন করে।”
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী প্রথম আন্তর্জাতিক গড়ে ওঠা ও সেখানে মার্কসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। মার্কস প্রবল দুঃখ-কষ্টের মধ্যে তাঁর জীবন পরিচালনা করেছেন, কিন্তু লড়াই থেকে এক পা-ও পিছনে আসেননি। মার্কসের এই জীবনসংগ্রামকে কমরেড মুবিনুল হায়দার তুলে ধরেন। সেখানে তাঁর বন্ধু, সর্বহারার আরেক মহান নেতা এঙ্গেলস ও মার্কসের স্ত্রী জেনি মার্কসের ভূমিকা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। মার্কসের জীবনে জ্ঞানচর্চা, সংগঠন ও মানবিকতার যে সমন্বয় ঘটেছে— এটা সচরাচর কোনো মানুষের জীবনে ঘটে না।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে দেখান যে, “দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক চরম ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। দেশের বামপন্থী দলগুলোর উচিত ছিল এ সময়ে জনগণের বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বামপন্থী দলগুলোর অনেকেই আজ ক্ষমতার যাওয়ার জন্য নির্বাচনী রাজনীতিতেই জড়িয়ে পড়েছেন। নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করেই সমস্ত কর্মকা- পরিচালনা করছেন, অথচ আবার মুখে তারা বিপ্লবের কথাও বলছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। যত ক্ষুদ্র শক্তিই হোক না কেন, বামপন্থীদের গণআন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে, তা না হলে এই ভয়াবহ দুঃখ ঘুচবে না।”
আলোচনাসভা সভাপতিত্ব করেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী এবং পরিচালনা করেন কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল। সভাশেষে মার্কসকে নিয়ে লেখা একটি সংগীত পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা। কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শেষ হয়।