নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ক্রসফায়ার বন্ধসহ জনজীবনের সংকট নিরসনের দাবি
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র নেতৃবৃন্দ ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা ও জনজীবনের সংকট নিরসনে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, “একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বচনসমূহে জনগণের ভোটাধিকার চূড়ান্তভাবে বিপন্ন। অনুগত নির্বাচন কমিশন, দলীয় প্রশাসন ও কালো টাকা-পেশী শক্তির দাপটে বিরোধী দল ও জনমনে আতংক সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ সমস্ত নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে প্রহসনে পরিণত হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে ও সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।”
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম-ক্রসফায়ার বন্ধসহ জনজীবনের সংকট নিরসনে ১০ দফা দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) ঢাকা নগর শাখার উদ্যোগে ৩০ জুন শনিবার বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মানস নন্দী, জহিরুল ইসলাম, ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক। বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটি ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই সারাদেশে জেলা-উপজেলা-এলাকায় প্রচার-গণসংযোগ, মিছিল, হাটসভা, পথসভা, পদযাত্রা, সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ২৫ জুলাই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এবং জেলায় জেলায় ডিসি অফিসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালিত হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “সরকার তথাকথিত উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছে। অথচ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, গ্যাস-বিদ্যুতের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি জনগণের জীবন-জীবিকাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অপরদিকে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট, ব্যাংকসহ সমস্ত আর্থিক খাত ধ্বংস করে মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণীকে যথেচ্ছাচারের সুযোগ করে দিয়েছে। ঋণখেলাপী ও বিদেশে টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোন উদ্যোগ সরকারের নেই।”
নেতৃবৃন্দ গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন বিনা বিচারে হত্যাকা- চালিয়ে যায় তখন জনগণের নিরাপত্তার অধিকার সম্পূর্ণ ভূ-লুন্ঠিত হয়। এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিসহ সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলণতে হবে।”
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।