নারী নির্যাতনের ঘটনার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে
বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২৯ জুন ২০১৮ বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাবের সামনে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও নারী নির্যাতনের দায় সরকারের এই বক্তব্য নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানস নন্দী, রাজু আহমেদ, তসলিমা আক্তার বিউটি
সমাবেশে বক্তারা বলেন গত ত্রিশ বছরে সাত লক্ষেরও বেশি নারী শ্রমিক হিসাবে মধ্যপ্রাচ্য পাড়ি দিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গেছে সৌদি আরবে। শুরু থেকেই এই সকল নারীরা সেখানে নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে।সাম্প্রতিক সময়েও শত শত নারী শ্রমিক ফিরে এসেছে। তাদের বর্ণনায় উঠে এসেছে কি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা। বেতন না পাওয়া, মার ধর করা, আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়া, নাকে এরোসল স্প্রে করা এই সব নিত্ত নৈমিত্তিক ঘটনা। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় সেখানে নারীরা যৌন নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে। নির্যাতিতরা দেশে ফিরে এসেও সামাজিক চাপের শিকার হয়েছে। অনেকে পরিবারের ঠাঁই পায়নি। নিঃস্ব হয়ে ফিরে এসে তারা পরিবার থেকেও বঞ্চিত। এই সকল অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে উপস্থাপন করা হলেও তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। জানা গেছেদায়সারাভাবে যথাযথভাবে প্রস্তুতি না নিয়ে মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার অসহায় নারীকে সরকার বিভিন্ন এজেন্সীর মাধ্যমে নারীদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা যখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছেএ সকল বানোয়াট গল্প।
নেতৃবৃন্দ বলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারের ভুমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অবিলম্বে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার দায় সরকারকে শিকার করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।