বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ২২ জুলাই ২০১৮ বিকাল ৪.৩০ টায় প্রেস ক্লাবের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের উপর যৌন নিপীড়নের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক তসলিমা আক্তার ও সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘরে -বাইরে-কর্মস্থলে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী আজ কোথাও নিরাপদ নয়। যে সরকারের দায়িত্ব নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সে সরকার আজ তার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের দিয়ে। আমাদের দেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের মত প্রকাশের, সংগঠিত হওয়ার অধিকার থাকলেও সরকার সংবিধানের এই নীতি মানছেনা । আন্তর্জাতিক সনদ সিডিও কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে যৌন নির্যাতনের হুমকী দিচ্ছে। সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে। অতীতে তনু হত্যাসহ, নারী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আমরা দেখেছি অপরাধীরা সরকারের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে গেছে। গত ৭ মার্চ’১৮ শাসক দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। ১লা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনাকারীরা ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম ধর্ষণ পালনকারী ছাত্রলীগের নেতা মানিকের কথা সকলেই জানে। সংবাদ মাধ্যমে এই সকল ঘটনা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ হলেও পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে পায় না। সাধারণ মানুষ প্রমাণ হাজির করলেও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়না।
বক্তারা বলেন, বিবেকবান মানুষ কখনই অন্যায়কে মেনে নেয়নি। তাই প্রতিরোধও গড়ে উঠেছে তাদের পক্ষ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে দৃপ্ত শপথ উচ্চারণ করেছেন তা অপরাধীদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে। দেশের সকল গণতন্ত্রমনা মুক্তবুদ্ধিসম্পন্নমানুষকে এই প্রতিরোধ আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান। নারী সমাজের প্রতিও আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন এই সকল নারী নির্যাতনকারী, ধর্ষক খুনিদের উচিত জবাব দিতে শক্তিশালী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবলিম্বে আন্দোলনরত ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদেরযৌন নিপীড়ন ও হয়রানির বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।