দেশের আকাশে-বাতাসে এখন কান্না-বেদনা-আর্তি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার সাথে মিশে আছে ক্ষোভ-বিদ্রোহ। মানুষ এখন আর বাধ্য হয়ে সবকিছু মেনে নিচ্ছে না। রাস্তায় নামছে, প্রতিবাদ করছে। সেই প্রতিবাদের উপর নেমে আসছে নির্মম আক্রমণ। ব্যাপারটা এখন আর কোন রাখঢাক নিয়ে নেই। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং সরকারি দলের অন্যান্য সংগঠনের ক্যাডাররা, সর্বোপরি সবগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন – সম্মিলিতভাবে সবরকম বিরোধী মত ও তাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে নির্মমভাবে দমন করছেন। এর মাত্রা, গভীরতা ও ব্যাপকতা অতীতের স্বৈরশাসনের নির্মম নির্যাতনের অভিজ্ঞতাকেও হার মানিয়েছে। সংক্ষেপে তার কিছু রূপের দিকে আমরা আলোকপাত করতে পারি।
১. রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অর্থাৎ পুলিশ, র্যাব ইত্যাদি দিয়ে যে কাউকে যে কোন সময় তুলে নেয়া, তারপর গ্রেফতার অস্বীকার করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। একে বলা হয় গুম। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুসারে গত বছর (২০১৭ সালে) সারাদেশে গুমের ঘটনা ঘটেছে ৮০টি। ‘অধিকার’ এর প্রতিবেদন – গত বছর ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে ১৩৯টি। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে গত দুই মাসে ‘ক্রসফায়ার’ নাম দিয়ে হত্যা করা হয়েছে দেড়শ জনেরও উপরে। ক্রসফায়ারের সবগুলো ঘটনায় একই প্রেসনোট প্রকাশ করা হয়। অনেক মিডিয়া ও সংবাদপত্রে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘স্ট্রেইট ফায়ার’। অর্থাৎ কোন ‘ক্রস’ই সেখানে হয় না। দু’পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মারা গেছে এ খবর নিছক বানোয়াট। সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযানের সময় টেকনাফের একরামুলকে হত্যা করার সময় তার স্ত্রী-কন্যার সাথে ফোনকলের রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ‘ক্রসফায়ার’ এর বীভৎসতা, এর সাজানো নাটক এই ঘটনার মতো আর কোন ঘটনাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পারেনি।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বীভৎস রূপ ও চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। এর আগে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে করে একজন আন্দোলনকারীর (যে কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত নয়) পায়ের হাড় ভেঙ্গে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। খোলামেলাভাবে শিক্ষকদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে, তাদেরকে আঙ্গুল তুলে শাসানো হচ্ছে, শিক্ষিকাদেরকে শুনিয়ে তাদের নামে অশ্লীল উক্তি করা হচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরব থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটি’ এর ছাত্র মীর মোহাম্মদ জুনায়েদকে বহিস্কার করা হয়েছে কোটা আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করায়। মানুষ আইয়ুব-এরশাদের সময়ও যা দেখেনি, তা এখন দেখছে।
৩. পুলিশ আহতদের কোন অভিযোগ নথিভুক্ত করছে না। উপরন্তু ধরে নিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। কোটা আন্দোলনকারীদের উপর কী নির্মম হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এর ভিডিও রেকর্ডিং সারাদেশ দেখেছে। অথচ হামলাকারীদের গ্রেফতারের কোন উদ্যোগ না নিয়ে গ্রেফতার করা হল আন্দোলনকারীদের। শুধু গ্রেফতার নয়, তাদের রিমান্ডে পর্যন্ত নেয়া হল। গাইবান্ধায় ছাত্র ফ্রন্ট নেতাকর্মীদের উপর কলেজ ও শহর মিলে দু’দফা প্রকাশ্য হামলা চালানো হল, অথচ পুলিশ কোন মামলা নিতে রাজি হল না। কোটা আন্দোলনকারীদের নেতা রাশেদকে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হল, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে প্রধানমন্ত্রীর নামে কটূক্তি করেছে। প্রধানমন্ত্রী কোন ধর্মগুরু বা মহামানব নন। এদেশে হরহামেশাই রবীন্দ্র-নজরুল, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের সৈনিক সূর্য সেন, প্রীতিলতা এমনকি দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সহস্র কটূক্তি করা হয়। সেসবের ব্যাপারে সরকার নীরব থাকেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নামে কটূক্তির অভিযোগে (সেটাও একটা মিথ্যা অভিযোগ) রিমান্ড পর্যন্ত মঞ্জুর হয়ে যায়।
নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের নতুন পদ্ধতি
বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করতে চাইছে সেটা আরও পরিকল্পিত। ৫ জানুয়ারির মতো একেবারে খোলামেলা রিগিং নয়। এবার সব দলকে নির্বাচনে এনে বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করা হচ্ছে। ‘সুজন’ এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বর্তমানের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন নিয়ে পত্রিকায় একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের ৫টি বৈশিষ্ট্য। এক. নির্বাচনের আগে বিরোধী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের রীতিমত তাড়িয়ে বেড়ানো। হঠাৎ করে মামলা দেয়া, ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করা – এতে তারা আর নির্বাচনের কাজে অংশ নিতে পারে না। দুই. পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া। পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে, মামলা দিয়ে, জোরপূর্বক এলাকাছাড়া করাই শুধু নয়; এবারের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এক অবিশ্বাস্য কা- ঘটালো সরকার। প্রায় ১০০ পোলিং এজেন্টকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে রাতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসা হল। তিন. নির্বাচনে বলপ্রয়োগ। বুথ দখলে নিয়ে ইচ্ছেমত ভোট দেয়া এই নির্বাচনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। যেহেতু পোলিং এজেন্ট নেই, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের দখলে, তাই এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ভোটের ব্যবধান ব্যাপক হারে বাড়িয়ে তোলা হয়। গাজীপুরের নির্বাচনের দিকে তাকালে আমরা দেখব যে, যেসব কেন্দ্রে ভোট পড়ার হার শতকরা ২০-৩০ শতাংশ, সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে শতকরা ৩৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন; যেখানে ভোট পড়ার হার ৩০-৫০ শতাংশ, সেখানে ৫১ শতাংশ বেশি পেয়েছেন; যেখানে ভোট পড়ার হার ৫০-৬০ শতাংশ, সেখানে ৮৯ শতাংশ বেশি পেয়েছেন; যেখানে ৬০-৮০ শতাংশ, সেখানে ১৫৮ শতাংশ বেশি পেয়েছেন। যেখানে ভোট পড়ার হার ৯০ শতাংশের উপরে সেখানে ৩০৯ শতাংশ বেশি পেয়েছেন। বিজয়ী ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর ভোটের অনুপাত সবচেয়ে কম ভোট পড়া কেন্দ্রগুলিতে ১০০:১৩৩, আর সবচেয়ে বেশি ভোট পড়া কেন্দ্রগুলিতে ১০০:৪০৯। অর্থাৎ যেসব কেন্দ্র বেশি ভোট পড়েছে তা কেন পড়েছে সেটা আমরা সহজেই এই হিসাব থেকে বুঝতে পারি। চতুর্থত. নির্বাচন কমিশনের নিস্ক্রিয়তা। নির্বাচনের সময় পুরো প্রশাসন কমিশনের দায়িত্বে থাকলেও তারা কোন ভূমিকাই নেয়নি। এ থেকে বোঝাই যায় পরবর্তী নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী হবে। পঞ্চমত. স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, মেয়রদের বহিস্কার করে, মামলা দিয়ে, জেলে পুরে, তাদের কাজের অর্থ বরাদ্দ না করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে, গতবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থী যারা জয়ী হয়েছিলেন, তাদের নির্বাচনী এলাকার বেহাল দশা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মনে এই ধারণা হয়েছে যে, সরকারদলীয় প্রার্থী বিজয়ী না হলে এলাকার কোন উন্নয়ন হবে না।
এই নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়েই আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অধীনে করতে চাইছে। এর থেকে কোনরকম বিচ্যুতি তাদের কাম্য নয়।
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও বিভিন্ন ইস্যু সামনে এনে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া
খালেদা জিয়া ও তার দল রাষ্ট্র পরিচালনা, দুর্নীতি, নির্যাতন, নিপীড়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের থেকে ভিন্ন কিছু নয়। কিন্তু এ সময়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে রাখাটা কোন ন্যায়বিচারের অবস্থান থেকে করা হয়নি। সেটা করা হয়েছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এটি পরিকল্পিতভাবে বিরোধী মত ও তার ক্রিয়াকলাপ দমনের লক্ষ্যে একটি পদক্ষেপ। একদিকে খালেদা জিয়ার পূর্বের অগণতান্ত্রিক শাসন, তার সাথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ছাড়া তার দলের দিক থেকে জনগণের পক্ষে কোন আন্দোলন না থাকায় মানুষের মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া হয়নি, কিন্তু এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি অশনি সংকেত। একটা বিরোধী দলের সংগঠনকে সম্পূর্ণ ছারখার করে দিয়ে তাকে বিভক্ত করা কিংবা একেবারে দমন করার যে ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে তা তার ফ্যাসিবাদী চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপিও তার শাসনামলে এই কাজ করেছিল। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বিএনপি-র একাংশ এবং তার অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছিল। বুর্জোয়া রাজনীতির এই ষড়যন্ত্র ও সংঘাতমূলক পদক্ষেপ এটাই শেখায় যে, তাদের রাজনীতিতে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার কিছুই আজ আর অবশিষ্ট নেই। আবার সরকার একের পর এক যেসব দমনমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে পরবর্তী ঘটনা পূর্বের ঘটনা থেকে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করার কারণে পূর্বের ঘটনা চাপা পড়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে, কিন্তু কোন একটা ইসু্যুকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট ও ধারাবাহিক আন্দোলন দানা বাঁধছে না।
বামপন্থীদেরই দাঁড়াতে হবে আন্দোলনের পথে, নির্বাচনী চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে লাভ নেই
দেশে বামপন্থীদের দুটি জোট সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এখনও কার্যকর কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। সবচেয়ে বড় দল সিপিবি দ্বি-দলীয় ধারার বাইরে বাম বিকল্পের শ্লোগান দিলেও তাদের নেতারা মাঝে-মধ্যেই আওয়ামী লীগের সাথে বিভিন্ন ফোরামে ওঠা-বসা করেন। এসব জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে। বাসদ বেশ কিছুদিন নাগরিক ঐক্য, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ, বিকল্প ধারা, গণফোরাম ইত্যাদি দলের পেছনে অনেক ঘোরাঘুরি করেছে বামপন্থীদের সাথে এদের একটা ঐক্য তৈরি করার জন্য, যাতে নির্বাচনে একটা শক্তপোক্ত অবস্থান দেখানো যায়। তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বাম মোর্চার বেশ কিছু দলও তাদের সাথে সহমত পোষণ করতেন। কোন একটি আসনে এই বামপন্থীদের কাউকে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে এই অবস্থা নেই। বামপন্থীদের মানুষের সামনে আসতে হলে আসতে হবে গণআন্দোলন দিয়ে। কিন্তু ধারাবাহিক গণআন্দোলনের দিকে বেশিরভাগেরই মনোযোগ ও উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। সাংগঠনিক শক্তিরও সীমাবদ্ধতা আছে। এতকিছুর পরও বামপন্থীরাই একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি যারা জনস্বার্থ নিয়ে কিছুটা লড়ছে ও সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বর্তমানে, বামপন্থীদের মধ্যে একটা ঐক্যের প্রচেষ্টা চলছে। এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই- এই দাবিসহ জনজীবনের জরুরি দাবিতে এই বাম ঐক্য আওয়ামী লীগের স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে – এই প্রত্যাশাই আমরা করি।
শিক্ষিত সচেতন মানুষ প্রত্যেকের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ
দেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষ প্রত্যেকেরই এই সময়ে ভূমিকা নেয়া দরকার। কারণ বিপদ সামনে, সময় থাকতেই তাকে প্রতিরোধ করতে হবে। আজ শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, রাজনীতিবিদ, শ্রমিক, কৃষক কেউই অত্যাচার-নিপীড়নের বাইরে নয়। এই ফ্যাসিবাদী শাসনে মানুষের ন্যূনতম অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা – কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই অন্যায় মেনে নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচাও যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এরই মধ্যে নিজেদের মর্যাদা নিয়ে নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষক তাদের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। এটা এই সময়ে একটা অনন্য দৃষ্টান্ত। এভাবে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন তবে একটা কার্যকর গণআন্দোলন গড়ে উঠতে পারে।