ট্রাক কর্মীদের বেতন ১৫ হাজার এবং ড্রেনার, ভ্যানার ও ঝাড়ুদারের মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকার নির্ধারণসহ ৪ দফা দাবিতে সকাল ৬ থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। পরবর্তী সময়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোরের সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ(মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সাজু বাসফোর, ঝাড়ুদার মুন্নি বাসফোর, ট্রাককর্মী লিমন বাসফোর, ড্রেনারকর্মী উত্তম বাসফোর, ভ্যানারকর্মী নায়ক বাসফোর প্রমুখ।
মুন্নি রাণী বাসফোর বলেন, নোংরা পরিবেশে কোন নিরাপত্তা ছাড়া হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম কওে গোটা শহর পরিস্কার রাখি আমরা। তার বিনিময়ে আমাদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা, যা দিয়ে এক কেজি চালও হয় না। আমরা বাঁচবো কিভাবে?
উত্তম বাসফোর বলেন, নিরাপত্তা ছাড়া নোংরা পরিবেশে কাজ করার ফলে আমরা প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। অসুস্থ্যতার কারণে কাজে যেতে না পারলে বেতন কেটে নেয়া হয়, এমনকি চাকুরি থেকেও ছাঁটাই করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ট্রাক কর্মীদের বেতন ১৫ হাজার এবং ড্রেনার, ভ্যানার ও ঝাড়ুদারের মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ, কর্মরত স্বাস্থ্যগত ঝুকি কমাতে ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশের স্বার্থে কাজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা, প্রসূতি মায়েদেও মাতৃকালীন ছুটি ও বেতনভাতা অব্যাহত রাখা, কর্মরত হরিজনের মৃত্যু হলে তার পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।
২৬ তারিখের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন প্যানেল মেয়র। এই দাবি মেনে নেয়া না হলে দীর্ঘ মেয়াদি কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস যাবৎ আন্দোলন করে আসছে রংপুরের সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং হরিজনদের সংগঠন ”হরিজন অধিকার আদায় সংঠগন”। বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিছিল সমাবেশ ও কয়েকবার মেয়রের নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করে আসছে হরিজনদের সংগঠনটি। মেয়র বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও এখনও বেতন বাড়ানোর ঘোষণা আসেনি সিটি কর্পোরেশন পক্ষ থেকে।