অবাধ-নিরপেক্ষ-অংশগ্রহণমূলক-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে ৬ নভেম্বর ২০১৮ বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী পদযাত্রার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠন করার দাবিতে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
পদযাত্রার পূর্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোট সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোমিনুর রহমান বিশাল ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
পদযাত্রা প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, দৈনিক বাংলা হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হতে পারে না। এটা আমাদের দেশের অভিজ্ঞতা। আমরা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত আরো একটা একতরফা নির্বাচন চাইনা। আমরা একটা অবাধ-নিরপেক্ষ-অংশগ্রহণমূলক-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। সেই কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তাই বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এবং পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে হবে।
‘সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই’-সরকারি দলের নেতৃবৃন্দের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধানেই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা আছে কিভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায়। শাসকশ্রেণি তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ১৭ বার সংবিধান সংশোধন করেছে। তাঁরা বলেন, সংলাপ আমাদের সামনে সুযোগ সৃষ্টি করছে ঐক্যমত্যের মাধ্যমে অবাধ-নিরপেক্ষ-অংশগ্রহণমূলক-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার। একগুঁয়েমি করে এই সুযোগ নষ্ট না করার জন্য তাঁরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সংলাপের মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু সমাধানে না পৌঁছানো পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকবেন। তা নাহলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে।
নেতৃবৃন্দ একটা অবাধ-নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।