সিলেটে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় কমরেড উজ্জল রায় বলেন, ধনিক শ্রেণীর রাজনৈতিক দলগুলো জনগনকে মৌল মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র ভোটাধিকার প্রয়োগ করাকেই গণতন্ত্র বলে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আজ এই ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। মানুষ নিজের ভোটটি দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শংকায় আছেন। গত ৪৭ বছরে শাসক গোষ্ঠি সংসদকে ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত করেছে। সংসদকে এই সকল ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
গত ১০ বছর ধরে চলমান আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য জনগণ এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে ঠিক, কিন্তু কেবল নির্বাচনে সরকার বা দল পরির্বতনের মাধ্যমেই এই কাঙ্কিত মুক্তি আসবে না। বিএনপি জামাত জোটের দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্যে মানুষ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু মুক্তি আসেনি, বরং আরোও বেশি নিপীড়নমূলক শাসন দেশের উপর চেপে বসেছে। গত ১০ বছর অতীতের সব রের্কড ভেক্সেগ দিয়েছে আওয়ামী শাসন। এই অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। বাস্তবে স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৭ বছর দেশ শাসন করা সকল সরকারই কিছুসংখ্যক শিল্পপতি-পুজিপতি ও লুটেরা-মাফিয়াদের স্বার্থে দেশ চালিয়েছে।
আজ দেশের যুব শক্তির ৮২ভাগই হতাশ,দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ থেকে পাশ করেও চাকুরি না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে তারা। কর্মক্ষম শক্তির প্রায় সাড়ে ৪কোটি মানুষের চাকুরি নেই। জমি হারিয়ে ভাসমান জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে দেশের এক বিশাল অংশের মানুষ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, গ্যাস বিদ্যুতের বাড়তি মূল্য, নারী-শিশু নির্যাতন দেশের মানুষের জীবনে এক কালো অধ্যায় নামিয়ে এনেছে গত ৪৭ বছরে পালাক্রমে দেশ শাসনকারী রাজনৈতিক দল গুলো।”
তিনি আরোও বলেন, “তাই জনগণের অধিকার আদায়ের একমাত্র গ্যারান্টি গণ আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে কোদাল মার্কায় ভোট দিয়ে আন্দোলনের শক্তিকে বিকশিত করবেন।”
বিকাল ২টা থেকে ৮টা মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বর, পুরাতন রেল গেইট, কোর্ট পয়েন্ট, নতুন বাজার, এবং সাহেবের বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী)র সিলেট-১ আসনে নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট হুমাযুন রশীদ সোয়েবের সঞ্চালনায় এবং সুশান্ত সিনহা সুমনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভা সমূহে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আ.ক.ম জহিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মুখরেছুর রহমান, রেজাউর রহমান রানা,তামান্না আহমেদ, সঞ্জয় কান্ত দাস প্রমুখ।