৮ জানুয়ারি ২০১৯ সাভারের উলাইল এলাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। এত সুমন মিয়া নামে এক শ্রমিক নিহত হন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা তথ্য অনুসারে আরও ৬/৭ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন, আহত হন অর্ধশতাধিক। এ সময় পুলিশ গুলির পাশাপাশি রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে।
পুলিশের গুলিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বাসদ (মার্কসবাদী) ৯ জানুয়ারি ২০১৯ বিকাল ৪টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও মিছিল পরবর্তীতে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমরেড আ.ক.ম জহিরুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করা গার্মেন্টস শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু সর্বশেষ মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা ঘোষণা করে। মালিকরা সেটাও বাস্তবায়ন করেছে না। আবার হেল্পারদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা ঘোষণা করা হলেও সেই কাঠামো অনুসারে ধাপে ধাপে অপারেটরসহ অন্যদের মজুরি কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা দরকার ছিল সেটা তারা করেননি। এর দাবিতে শ্রমিকরা যখন আন্দোলনে নামে তখন তাদের উপর প্রবল দমন-পীড়ণ নামিয়ে আনা হয়।”
বক্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার গত ৩০ ডিসেম্বর নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে একটা একতরফা নির্বাচন করলো। দেশের ব্যবসায়ী-পুঁজিপতিরা জনগণের ম্যান্ডেট না থাকা সত্তে¡ও তাকে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে আসছে এইজন্য যে, আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী-পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষা করছে। একটি ‘ভোট ডাকাতি’র নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহের মাথায়ই শ্রমিকদের উপর গুলি চালাল এই সরকার।” বক্তারা অবিলম্বে শ্রমিকহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ এবং শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শ্রমিক-মালিক-রাষ্ট্র এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে মজুরি কাঠামো পুনঃর্গঠন করার দাবি জানান।