বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি আল্লামা শফি সাহেব এক ওয়াজ মাহফিলে মেয়েদের স্কুলে না দেয়ার জন্য, আর পড়ালেও ক্লাস ফোর-ফাইভের বেশি না পড়ানোর জন্য মাহফিলের লোকেদের ওয়াদা করিয়েছেন। তার এই ধরনের বক্তব্য ধর্মীয় কূপমন্ডূকতার নিদর্শনই শুধু নয়, বাস্তববিবর্জিতও। দুঃখের বিষয় এই ধরনের বয়ান তারা আজও দিয়ে যাচ্ছেন। আর আওয়ামী লীগ এ ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাদের কথায় পাঠ্যপুস্তকের রচনা পাল্টেছে, আবার মুখে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনার গল্পও শোনাচ্ছে।
আল্লামা শফিও ধর্মের নামে মানুষকে ঠকাচ্ছেন। একদিকে নারীশিক্ষাকে হারাম বলছেন, অপরদিকে শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনার মাধ্যমে কওমী জননী উপাধি দিয়েছেন। যখন যেমন কথা বললে সুবিধা হয়, তখন সেরকম কথাই বলে যাচ্ছেন। বাস্তবে তারা ধর্মের কথা বলে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। এতে মানুষ ন্যায়-অন্যায় কী তাও ঠিকভাবে ধরতে পারছে না। কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী সকল গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন মানুষকে এইসকল কূপমন্ডূকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের আহ্বান জানান।
মওলানা শফি আহম্মেদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ
নারী বিদ্ধেষী, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনা পরিপন্থী বক্তব্যের দায়ে তার বিচার দাবি
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক যুক্ত বিবৃতিতে হেফাজতের আমির মওলানা শফি’র সংবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনা পরিপন্থী, নারী বিদ্ধেষী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, মাওলানা শফি আহম্মেদের বক্তব্য সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। কারণ তিনি নারীদের চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শ্রেণির উপর না পড়ানোর ফতোয়া দিয়ে কয়েক হাজার অনুসারী মানুষকে শপথ করিয়েছেন। এটা সংবিধান পরিপন্থী, গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার ও চেতনার পরিপন্থী, নারী বিদ্ধেষী বক্তব্য। তার এ বক্তব্য মহিলা, স্কুল-কলেজে হামলা ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীদের ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রতিবাদ উঠায় ইতিমধ্যে তিনি তার বক্তব্যকে ঘুরিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। তারপরও তার বক্তব্যের মর্মার্থ নারী বিদ্ধেষী। নারীদের প্রতি মওলানা শফির এ ধরনের বক্তব্য নতুন নয়। অতীতেও তিনি বিভিন্নভাবে নারীদের শরীর, শিক্ষা, কাজ, সামাজিক মর্যাদা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা তাকে এ ধরনের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত প্রদানের শক্তি যুগিয়ে আসছে। সমাজের সমস্ত স্তরের গণতন্ত্রকামী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের এই ধরনের ফতোয়া-বক্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সংবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিরুদ্ধে এই বক্তব্য-ফতোয়া প্রদানের জন্য ধর্মান্ধ শফি হুজুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সমন্বয়ক কমরেড শাহ আলম, সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ইউসিবিএল এর সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসাবদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা তাকে এ ধরনের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত প্রদানের শক্তি যুগিয়ে আসছে। সমাজের সমস্ত স্তরের গণতন্ত্রকামী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের এই ধরনের ফতোয়া-বক্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সংবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিরুদ্ধে এই বক্তব্য-ফতোয়া প্রদানের জন্য ধর্মান্ধ শফি হুজুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সমন্বয়ক কমরেড শাহ আলম, সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ইউসিবিএল এর সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসাবদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক।