গণতন্ত্র- ভোটাধিকার ও সাম্প্রদায়িকতা-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে শহীদ আসাদ এখনও প্রেরণা জোগায়
১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের পথ চলার নায়ক শহীদ আসাদের রক্তের পথ বেয়ে ২৪শে জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানে লাখো মানুষের যে গণভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়- তা পাকিস্তানী সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল আইয়ুব খানের তখত তাউস কাঁপিয়ে দিয়েছিল- তার পতনের দরজা খুলে গিয়েছিল। ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট পাকিস্তানী বাইশ পরিবারের একচেটিয়া শোষণ ও আমলাতান্ত্রিক পাকিস্তান রাষ্ট্রকে খতম করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর একই ধরনের হাজার হাজার পুঁজিপতির শোষণ ও আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্র এদেশের কোটি-কোটি মানুষের উপর শোষণ-নির্যাতন চালাচ্ছে। মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আজও ১৯৬৯-এর শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। তাই ৬৯-এর পথ ধরে স্বৈরাচার-সাম্প্রদায়িকতা-শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আসাদ বেদীতে ফুল দেয়ার পর বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ এই কথা বলেন এবং শহীদ আসাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।