Friday, November 22, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্ট স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন

 স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন

সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস ও ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে করার দাবি

52377641_462430997860131_8451033696084951040_n
১৪ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল শেষে কলাভবনের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি এদেশের ছাত্র-জনতার লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম গৌরবোজ্জল এক অধ্যায়। ১৯৮৩ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন এগিয়ে দিয়েছিল স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণের সংগ্রামকে। কিন্তু মধ্য ফেব্রুয়ারির সেই ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে আমদানি করা হয়েছে ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের মতো আয়োজন। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানি এই দিনকে কেন্দ্র করে ফুল, কার্ড, গিফটের যে ব্যবসা করে তা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিতে চায়। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ দেশেরও একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী দিনটিকে জনপ্রিয় করতে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা করছে। প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক মাতামাতি। এর মাধ্যমে একদিকে মানুষের সহজাত স্নেহ-ভালবাসা প্রেমের আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসার ফন্দি করছে অন্যদিকে ভালোবাসার সামাজিক চরিত্রকে নষ্ট করে দিয়ে ক্রমেই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও ভোগবাদী করছে।

বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্রায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রসারের জন্য গড়ে ওঠেছিল ছাত্র সংসদ। কিন্তু সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারগুলো ছাত্র সংসদ তথা এদেশের মিনি পার্লামেন্টখ্যাত ডাকসু নির্বাচন বন্ধ করে দেয়। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি হয় ক্যাম্পাস ও হলে। এই অবস্থায় দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল অধিকাংশ ছাত্র সংগঠনের একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্যশীল প্রশাসন একটি সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করছে এমন ধারণাই পাকাপোক্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আমরা চাই, দখলদারিত্বের অবসানের জন্য প্রথম বর্ষ থেকেই প্রশাসনিকভাবে হলে সিট বণ্টন নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। অন্যথায় এই নির্বাচনও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো প্রহসনে পরিণত হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments