Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদসমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

গত ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমেশচন্দ্র মজুমদার মিলনায়তনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল পরবর্তী কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সংগ্রামী আহ্বায়ক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষ আগামী দিন কি ঘটে সেই আশঙ্কায় চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। এই পরিস্থিতি আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র ক্ষমতাকেন্দ্রিক পাল্টাপাল্টি রাজনীতির কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। এই দুটি দল এবং তাদের সাথে যুক্ত জামাত-জাতীয় পার্টিও ক্ষমতার প্রয়োজনেই এই সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এরা কেউই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ তাদের ৫ বছরের দুঃশাসনে সৃষ্ট জনরোষ থেকে রক্ষা পেতে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে টালবাহানা করছে। পুনরায় ক্ষমতায় আসার পথ অবারিত করতে প্রশাসনিক ক্ষমতা নিজেদের পক্ষে আনতে চাইছে। সরকার সমস্ত গণতান্ত্রিক কর্মসূচি, সভা-সমাবেশ-মানববন্ধনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করেছে। বিএনপি এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো প্রতিবাদ করার বদলে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় আসতে মরিয়া চেষ্টা করছে। বাস্তবে এরাও ক্ষমতায় যাবার মাধ্যমে আগামী ৫ বছরে সমস্ত ধরনের লুটপাট-দুর্নীতির লাইসেন্স চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপির পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং এদের উভয়ের প্রতি জনগণের অনাস্থার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা এসেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় সরকারের আমলে চরম দলীয়করণ এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। ফলে এখন সরকারের দায়িত্ব সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
তিনি আরও বলেন, মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্যতম সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু এই শক্তিকে মোকাবেলা কখনই আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে সাথে নিয়ে করা যাবে না। এই দুই দলের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ৪২ বছরে বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তি নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড মানস নন্দী, উজ্জল রায়, ফখরুদ্দিন কবির আতিক। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ ক ম জহিরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি বেলাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক মুকুল, দপ্তর সম্পাদক সুলতানা আক্তার রুবি প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন।
সভা শেষে ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সভাপতি হিসেবে পূননির্বাচিত হয়েছেন সাইফুজ্জামান সাকন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু। কমিটির অন্য নেতৃবৃন্দ হলেন – সহ-সভাপতি : কল্যাণ দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক : সত্যজিৎ বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক : শরীফুল চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক : মলয় সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : রাশেদ শাহরিয়ার, স্কুল সম্পাদক : তাজ নাহার রিপন, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক : সেঁজুতি চৌধুরী, সদস্য : (১) নাঈমা খালেদ মনিকা, (২) বিধুভূষণ নাথ পলাশ, (৩) আহসানুল আরেফিন তিতু, (৪) জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, (৫) মাসুদ রেজা, (৬) নীলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, (৭) শফিকুল ইসলাম, (৮) বিপ্লব বিজয় দাশ, (৯) মুনীরুজ্জামান মনির, (১০) মাসুদ রানা, (১১) রুহুল আমিন, এবং (১২) তাজিউল ইসলাম।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments