২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সহস্রাধিক শ্রমিকের ভবন ধসে মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল যে, সেই শ্রমিকদের মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং তা ছিল মালিকশ্রেণির মুনাফার লালসার ফলস্বরূপ শ্রমিক গণহত্যা।। অনেক শ্রমিক নেতা এটাকে কাঠামোগত হত্যাকান্ডই মনে করেন। রাষ্ট্র কাঠামো তার সীমাহীন অবহেলা ও উদাসীনতা দিয়ে যে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সেটা কি শুধুই শোকের দিন? না, শোককে শক্তিতে পরিণত করার দিন। কখনো ভবন ধসে শ্রমিক নিরাপত্তাহীন হয়ে মরে। কখনো আগুনে দগ্ধ হয়ে শ্রমিক নিরাপত্তাহীন হয়ে মরে। কখনো করোনাতে আক্রান্ত হয়ে শ্রমিক নিরাপত্তাহীন হয়ে মরে । করোনাকালে বাংলার হতভাগ্য গার্মেন্টস শ্রমিকরা কেমন আছে ভাবতে গেলে রানা প্লাজার কথা মনে পড়ে যায়। বহুবার সাবধান করা সত্ত্বেও না মালিক না রাষ্ট্র কেউ মানেনি শ্রমিকের কথা।
এই দিনে গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন । সংগঠনের সভাপতি মাসুদ রেজা ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ সরকারের কাছে নিম্নোক্ত দাবি করেন:
দাবিসমূহ:
১. শ্রমিকের কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে।
২. ঝুকিপূর্ণ কাজে শ্রমিককে ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে ।
৩. শ্রমিক মৃত্যুতে তাকে একজীবনের সমান ক্ষতিপুরণ দিতে হবে সে আলোকে ক্ষতিপুরণ আইন সংশোধন করতে হবে। ক্ষতিপুরণ আর অনুদান,বীমা আলাদা হবে।
৪. রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যার পেছনে মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে ।
৫. রানা প্লাজার পুরো কম্পাউন্ড জুড়ে আধুনিকায়ন করে স্মারক ভাস্কর্যটির অবিকল উন্নয়ন করতে হবে।