বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী গত ৩মাস ধরে অসুস্থ ও শয্যাশায়ী অবস্থায় আছেন। ৮৮ বছর বয়স্ক কমরেড মুবিনুল হায়দার ২০১২ সালে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ক্যান্সার থেকে সেরে উঠেছেন, ২০০৩ সালে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারী করা হয়েছিল, তিনি বহুবছর ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। তাসত্ত্বেও নিয়মমাফিক জীবনযাপন, নিয়মিত শরীরচর্চা, দলের কমরেডদের নিবিড় সেবা-যত্ন ও তাঁর দীর্ঘকালীন চিকিৎসক ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক এণ্ড হসপিটালের ডা. শুভংকর চ্যাটার্জির তত্ত্বাবধানে তিনি এই বয়সেও মোটামুটি সুস্থ ও কর্মক্ষম ছিলেন। কিন্তু, গত ১৩ মার্চ ২০২১ তারিখে স্নান করার সময় তিনি পিছলে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে আঘাত পান। এরপর থেকে তিনি হাত ও পা নাড়াতে পারছেন না এবং শয্যাশায়ী অবস্থায় আছেন। এরমধ্যে তাঁকে দু’বার হাসপাতালে নিতে হয়। প্রতিবারেই কিছুদিন তাঁকে আইসিইউ ও এইচডিইউ’তে রাখতে হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ আছে, দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার দরুণ বেডসোর বা শয্যাক্ষত তৈরি হয়েছে, সার্জারির পরও সেগুলো এখনও সেরে উঠছে না। বর্তমানে তিনি তুলনামূলকভাবে কিছুটা সুস্থ হওয়ার কারণে বাড়িতে আছেন, তবে শারীরিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় নেই, এখন পর্যন্ত দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না। বিভিন্ন বাম গণতান্ত্রিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শুভানুধ্যায়ী, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁর সংস্পর্শে আসা সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ অনেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন, তাঁদের সহানুভূতি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কমরেড মুবিনুল হায়দার ও বাসদ(মার্কসবাদী)-র পক্ষ থেকে আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রবীণ বামপন্থী নেতা কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী-র স্বাস্থ্যের অবনতি
RELATED ARTICLES