সংঘাত-সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে আওয়ামী মহাজোটের ভোটারবিহীন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তথাকথিত সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার ধুয়া তুলে আওয়ামী মহাজোট যে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন আয়োজন করেছিল, জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নির্বাচন দেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণে কোনও ভূমিকা তো রাখেই নি, বরং এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত করেছে। এ ধরনের একটি প্রহসন ও তামাশার নির্বাচনকে শাসন পরিচালনার বৈধতা হিসাবে দেখানোর যে চেষ্টা শেখ হাসিনা করেছেন তা শাসকগোষ্ঠীর চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী মনোভাবেরই প্রকাশ। তিনি অবিলম্বে এই তামাশার নির্বাচন বাতিল করে সকল গণতান্ত্রিক দল ও জনগণের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
বিবৃতিতে কমরেড মুবিনুল হায়দার বলেন, শাসকদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বিরোধী জোটের কথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংঘাতে জনগণকে জিম্মি করা হয়েছে। তারই পরিণতিতে ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট সংঘাতে ২১ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, নির্বাচনোত্তর সংঘাতে মারা গেছে আরো ৬ জন – যা মৃত্যুর তালিকাকে দীর্ঘ করেছে। আর এ অবস্থার সুযোগে নির্বাচনের আগে-পরে যুদ্ধাপরাধী জামাত-শিবির চক্র ও স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে একদিকে দেশে সাম্প্রদায়িক মনোভাবকে উসকে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পদ লুটপাট করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতা বন্ধ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সরকার ও প্রশাসন যে ব্যর্থতা পরিচয় দিয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিহত করার জন্য গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি এলাকায় এলাকায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি / তারিখ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৪