Friday, April 26, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টবর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

12477122_554982307999024_1830801883_o
১লা জানুয়ারী  বিকেল সাড়ে ৩ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখান করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সিমা দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল চৌধুরী।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গনে বর্ষবরণ উৎসবে এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন অনেক নারী। ৩০-৩৫ জনের সংঘবদ্ধ চক্র লাঞ্ছিত ও বিবস্ত্র করেছিল নারীদের। ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ২ জনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দোষীদের চেহারা ধরা পড়েছিল। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মানুষ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করেছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম থেকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর ছিল যা তখন পুলিশ, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছিল।

তখন নারী লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বামপন্থি ও প্রগতিশীল সংগঠন আন্দোলন করছিল সেই আন্দোলন মহাজোট সরকার পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করছিল। পহেলা বৈশাখের পরবর্তীতে যখন সারাদেশের মানুষের মধ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী হয় তখন পুলিশ প্রধান পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছানাকারীদের ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেন। নারী লাঞ্ছনার ঘটনার দীর্ঘদিন পর দোষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্ট প্রকাশ করে যা ন্যাক্কারজনক। সরকার দোষীদের বাঁচানোর জন্য পুলিশকে দিয়ে এরকম রিপোর্ট দিয়েছে। সমাজে প্রতিনিয়ত নারী লাঞ্ছনা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে এমনকি শিশু কন্য থেকে ৬০ বছরে বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় পহেলা বৈশাখে নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচার করা নারী লাঞ্ছনাকরীদের উৎসাহিত করবে এবং সমাজে নারী নির্যাতনের মত ভয়াবহ ঘটনা বৃদ্ধি পাবে।”

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পহেলা বৈশাখে নারী নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার বিচারের জোর দাবি জানান এবং সমাজের সকল গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষদের নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা রুখতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments