Friday, April 26, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টভর্তি সংকট সমাধানের দাবিতে ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ ও মিছিল

ভর্তি সংকট সমাধানের দাবিতে ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ ও মিছিল

1904091_798852270137987_5111700854465372079_nসমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ঘোষণা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বার ভর্তির সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু, দপ্তর সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী ও সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা।
সাইফুজ্জামান সাকন তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঘোষণা কোনো কার্যকর সমাধান বয়ে আনবে না। সকলেই জানেন, দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় ২৬০০ কলেজের মধ্যে ২৭৮টি সরকারি, বাকিগুলো বেসরকারি কলেজ। নতুন সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সরকারি কলেজগুলো বিভাগীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চশিক্ষা পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা এই প্রতিষ্ঠানটির নেই। আমাদের 10635885_798852246804656_6336521085716100505_nসংগঠনসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি-আন্দোলনের পরও সরকারের এই সত্য কথাটি বুঝতে ২২ বছর লেগে গেল! আর সমাধান হিসেবে যা বলা হলো তাতেও কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা বা ছাত্রসমাজের দাবির কোনো যথার্থ প্রতিফলন নেই। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যদি একটি মানহীন প্রতিষ্ঠান হয় তবে বেসরকারি কলেজগুলোকে এর অধীভুক্ত রাখার ব্যাখ্যা কী? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত হলেই কি সরকারি কলেজগুলোতে সেশনজট, শিক্ষক-ক্লাসরুম স্বল্পতাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক আয়োজন নিশ্চিত হবে? যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেও হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। এ সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ব্যক্তব্য আমরা সেই ঘোষণা থেকে পাইনি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সরকারি কলেজগুলোর প্রশাসনিক-একাডেমিক কর্মকাণ্ড কিভাবে পরিচালিত হবে — তার মূর্ত বক্তব্য নেই। বাস্তবে অতীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে শিক্ষাবোর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যাগুলোর ভূমিকাও হবে তাই। এভাবে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর কতদিন চলবে? ফলে জেলায় জেলায় পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে তার অধীনে কলেজগুলো যুক্ত করে, সমস্ত দিক থেকে সংকট সমাধানের উদ্যোগ সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসন ফাঁকা থাকা, মেধার অপচয় রোধ করা, বৈষম্য দূর করা, কোচিং দৌরাত্ম্য বন্ধ করার কথা বলে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করেছে। কর্তৃপক্ষ এসব অসার যুক্তির আড়ালে বাস্তবে দেশের গরীব-সাধারণ মানুষের সন্তানদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার সুযোগকে আরও সংকুচিত করলো। সামান্য উদ্যোগ নিলেই যেখানে আসন ফাঁকা থাকার ব্যাপারটির সমাধান করা যায়, কিংবা সরকার আন্তরিক হলে কোচিং বাণিজ্যও বন্ধ করা যায় সেখানে তা না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগকে সংকোচিত করছে। বাস্তবে এটি শিক্ষা সংকোচনের একটি ষড়যন্ত্র। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments