Friday, April 26, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্ট১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত

১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে দেশ চালাচ্ছে সরকার

P_20170214_123113
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কেন্দ্রীয় প্রগতিশীল ছাত্র জোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকি আক্তার,  সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাইমা খালেদ মনিকা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল ও ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারিতা এরশাদকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সরকার পাঠ্যপুস্তককে নির্লজ্জভাবে দলীয় পোস্টারে পরিণত করেছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধ্বংসের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্নফাঁস করে তা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের চেতনা ছিল তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদের স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কিন্তু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার সেই স্বৈরাচারকে সাথে নিয়ে চরম স্বৈরতন্ত্রকেই পুনরুজ্জীবিত করেছে। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে বর্তমান সরকার।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। যেকোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের জন্য রাষ্ট্রীয় বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। নেতৃবৃন্দ স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রসমাজকে সরকারের অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন এরশাদ সরকারের মজিদ খান শিক্ষানীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন জাফর-জয়নাল-দীপালি-কাঞ্চনসহ অন্তত ১১ জন আন্দোলনকারী। গ্রেফতার হন ১৩৩১ জন। ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এরশাদ। শিক্ষানীতির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার বিলোপসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনা। মজিদ খান শিক্ষানীতিতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের সুপারিশ করা হয়। সেখানে, শিক্ষার বেতনের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করা এবং রেজাল্ট খারাপ হলেও অতিরিক্ত ৫০ ভাগ বেতন দিলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments