নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ২৪ আগষ্ট ২০১৫ সকাল ১১.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে একটি মিছিল তথ্যমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিসি অফিসে গিয়ে শেষ হয়।
প্রেসক্লাবে চলাকালীন সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দিনাজপুর জেলার সদস্য গোবিন্দ চন্দ্র রায় এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নারীমুক্তি কেন্দ্রের সংগঠক রোহানি তাসনিম, আরজুনা হক এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) দিনাজপুর জেলার সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম সবুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইয়াসমিনের ধর্ষন ও হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সেদিন ২৪ আগষ্ট দিনাজপুরসহ সারাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছিল এবং প্রতিবাদের মুখে সেদিন ধর্ষকদের ফাঁসি দিয়েছিল। কিন্তু আজকে ইয়াসমিন হত্যার পর গত বিশ বছরে শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিন্তু সেদিনের মত প্রতিবাদ গড়ে উঠছে না, কেননা সেদিন মানুষের মাঝে নৈতিক মুল্যবোধের যে মান ছিল আজকে রাষ্ট্র পরিকল্পিতভাবেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। কেননা আজকের সমাজে ধর্ষক তৈরী করছে রাষ্ট্র আর নারী দেহকে পুঁজিপতিরা তাদের মুনাফার পণ্যে পরিণত করেছে। আর সে কারনেই যে মানুষগুলো অশ্লীলতা, অপসংস্কৃতি এবং মাদক জুয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবে তাদেরকেই আজ এসবের শিকার বানানো হচ্ছে। অন্যদিকে সমাজের মানুষের নৈতিককতাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই আজ মানুষ হিসেবে সমাজে বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন উন্নত সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ এবং তার ভিত্তিতেহ সামাজিক অশ্লীলতা, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণআন্দোলন। আর এই গণআন্দোলনের মাধ্যমে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা উচ্ছেদের আন্দোলন। কেননা পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক নিয়মই এসবের জন্য দায়ী। বক্তব্য শেষে একটি মিছিল ডিসি অফিসে যায় এবং সেখানে স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দিনাজপুর জেলা শাখার আহবায়ক এ,এস, এম মনিরুজ্জামান মনির। এরপর ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্যমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করে।